বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

শাহজাদপুরের জামিরতায় ১৫ বছর ধরে হিন্দু পরিবারের ৫৮ শতাংশ জমি প্রভাবশালীদের দখলে

এম,এ,জাফর লিটন,শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ): শাহজাদপুর উপজেলার  পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা কলেজপাড়ায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত্যু কতু মোল্লার ছেলে জুড়ান, কুড়ান, রসুলদী, রমজানরা  জামিরতা গ্রামের খোকন কুমার সাহার ৫৮ শতাংশ ফসলী জোর পূর্বক ভোগ দখল  ও চাষাবাদ করে আসছে। সরে জমিনে ঘুরে গত সোমবার বিকেলে খোকন সাহা ও স্থানীয় জনসাধারণ মারফত জানা যায়, ৫৮ শতাংশ জমি খোকন সাহার বাবার বৈধ ক্রয়কৃত সম্পত্তি। খোকন সাহার বাবা  মরহুম কতু মোল্লার নিকট থেকে তা ক্রয় করে দলিল করে নিয়েছেন। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কতু মোল্লার ছেলেরা তার বাবা বিক্রি করে নাই অযুহাত দিয়ে জোরপূর্বক ৫৮ শতাংশ জমি দখল করে ধান, তিল ও ধুমচা লাগিয়ে আসছে। এতে বাঁধা দিতে আসলে কতু মোল্লার ছেলে ও তাদের লোকজন সংখ্যালঘু খোকন কুমার সাহাকে ভয়ভীতি ও মারপিটের হুমকী দেয়। বিষয় নিয়ে খোকন সাহা ইতিপূর্বে শাহজাদপুর থানায় বিচারপ্রার্থী হলে থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে হাজির করে কাগজপত্র যাচাইবাছাইপূর্বক খোকন কুমারসাহার পক্ষে সালিসনামা করে দেয়। এসময় অভিযুক্তরা এই জমিতে আর ঝামেলা করবেনা বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই রসুলদি ও জুড়ান গংরা ঐ জায়গা নিজের দাবী করে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এবং এ দাবীর  প্রেক্ষিতে  উল্লেখযোগ্য কোন কাগজপত্র না থাকলেও সে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমির ভোগ দখল করবে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দখলবাজ রসুলদীর কাছে জমির মালিকানা বিষয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন। এমনকি জমির মালিক হিসেবে তিনি কোনদিন কখনও খাজনা খারিজও করেননি। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, সম্পূর্ণ গায়ের জোরে জুড়ান, রসুলদীরা ঐ ৫৮ শতাংশ জমি দখল করে চাষাবাদ করছে। ওদের ভয়ে কেউ মুখ খোলেননা। খোকন কুমার সাহা জানান, জমিতে গেলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলেও একাধিকবার হুমকী দিয়েছে দখলবাজরা। ফলে তিনি সম্পত্তি হারানোর পাশাপাশি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর তৈয়ব আলী জানান, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তার কাছে আছে। বাদী  খোকন সাহার দাবী সঠিক। প্রভাবশালী রসুলদী ও জুড়ানরা জোরপূর্বক কাগজপত্র ছাড়াই জমি ভোগ দখল করছে। শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ