সরাইলে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী নয়ন মণি-(১৩)। সম্প্রতি উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামে আলোচিত এই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, কাটানিশার গ্রামের মোঃ গোলাপ মিয়ার শিশু কন্যা ও উপজেলার আখিঁতারা নূরুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী নয়ন মনি-(১৩)এর সাথে সরাইল সদর ইউনিয়নের কুট্টাপাড়া গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া-(১৮) এর সাথে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে বুধবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
বিষয়টি গোপনে জেনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ইসরাত।
বিয়ে উপলক্ষে নয়ন মনির বাড়িতে ঘটা করে আয়োজন করা হয়। দুপুরে বরযাত্রী ও বিয়ের নিকাহ নিবন্ধনকারকও (কাজী) কনে বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার পর বাঁধ সাজে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কাজল চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ মিজান মিয়াকে বাল্যবিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বাবার বরযাত্রীদের উপস্থিতিতে বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় বিয়ে বাড়িতে আসা লোকজন সটকে পড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও বরযাত্রী এবং কাজীও চলে যান।।
পরে নয়নমনির মা বাবাকে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত নয়ন মণিকে বিয়ে দিবেন না মর্মে ৩’শ টাকার ষ্ট্যাম্পে মুচলেকা দেন গোলাপ মিয়া ও তার স্ত্রী। ওই মুচলেকায় স্বাক্ষী হন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য।
এ ব্যাপারে গোলাপ মিয়া বলেন, আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে পড়ত। এখন আর স্কুলে যায় না। তবে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ মাহাবুব মিয়া বলেন, নয়ন মণি আমাদের বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাত বলেন, স্কুল পড়–য়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে দিবে এটা হতেই পারে না। তাই বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। আর মা বাবার মুচলেকা রেখেছি।