শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সংগ্রাম ডেস্ক : তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশ ঘটায় আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার শংকায় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা গতকাল রোববার নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলায় শহীদ রমিজউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের দু’শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হ্বার প্রতিবাদে বিগত এক সপ্তাহ যাবত নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন শংকিত এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে। কারণ, অতীতে যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতে পারে, শিক্ষার্থীদের হত্যা করতে পারে, চলন্ত গাড়িতে পেট্রোল ছুঁড়ে মেরে মানুষ হত্যা করতে পারে তারা যখন এর সঙ্গে নেমে আসে তখন তারা কি না করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, তার কাছে তথ্য রয়েছে গাউসিয়া মার্কেটে স্কুল পোশাক তৈরীর হার অনেক বেড়ে গেছে, পলাশিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নতুন পরিচয়পত্র তৈরী করা হচ্ছে, মুখে কাপড় বেঁধে, হেলমেট পরে এরা হামলায় অংশ নিচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বাস্তবায়নাধীন ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ১০টি জেলার ৩শ টি ইউনিয়নের অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটির উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তিকে মানুষের কল্যাণে এবং গঠনমুলক কাজে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কোন গুজবে বা মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হ্বার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আজকে এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে মানুষের যেমন সেবা বাড়ছে তেমনি মাঝে মাঝে কিছু ঝামেলারও সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি সেখানে সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভেতর একটি অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টিরও কেউ কেউ চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ গুজবে কান দেবেন না, মিথ্যা অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। সেটাই আমি সকলকে বলব, যাই দেখেন শোনেন আগে যাচাই করে নেবেন। যাচাই না করে যেন কোন কিছু করবেন না। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী- যুব সমাজের প্রতি আমার এই আহ্বান থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক-ইউটিব-এগুলো ভালো কাজে ব্যবহার করুন, গুঞ্জন বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজে নয়।
‘সেখানে নোংরা বক্তব্য দেয়া, নোংরা কথা বলা, অপপ্রচার চালানো পরিহার করতে হবে,’ – যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি যেটা মানুষের জীবন গড়ার কাজে, জীবনকে সুন্দর করার কাজে ব্যবহার করতে পারি। শিক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যবহার করতে পারি সেটার যেন কোনভাবেই অপব্যবহার না ঘটে সেটাই আমরা চাই।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ