শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

অরক্ষিত উপকূল অসহায় মানুষ

আখতার হামিদ খান : সমুদ্র উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জোড়াতালি সংস্কার- মেরামতের নামে বছর বছর চলে আসছে সীমাহীন দুর্নীতি। এ নিয়ে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের শুধুই হরিলুট হচ্ছে। এর পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একশ্রেণীর অসৎ প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দলবাজ ঠিকাদার মিলে গড়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ লুটেরাচক্র। ওরাই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের সহায়তায় রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কিন্তু দেশের উপকূলে ‘স্থায়ী’ বেড়িবাঁধ আজো হয়নি।
উপকূলবাসীর জানমাল, বন্দর-শিল্পাঞ্চলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সম্পদের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারেনি নড়বড়ে ও দায়সারা গোছের নির্মিত বেড়িবাঁধ। দেশের ২১টি উপকূলীয় জেলার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য হচ্ছে স্থায়ী বেড়িবাঁধ। কিন্তু যথাযথ নিয়ম বিধিমতো কোথাও বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না হওয়ায় সেই জোড়াতালির বেড়িবাঁধ পরিণত হয়েছে উপকূলবাসীর জন্য মরণফাঁদ। বরাবরের মতোই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আর প্রবল জোয়ারের আতংক মাথায় নিয়েই দিনাতিপাত করতে হয় উপকূলবাসীকে। স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে উপকূলবাসীর জীবন জীবিকা হুমকির সম্মুখীন। কেননা কৃষি খামার, ফসলি জমি, লবণের মাঠ, চিংড়িসহ মাছের ঘের, পুকুর, সবজি ক্ষেতসহ গ্রামীণ অর্থনীতি এমনকি মানুষের বসতভিটা সবকিছুই উত্তাল সাগরের করাল গ্রাসের মুখে রয়েছে। ভাঙ্গাচোরা বেড়িবাঁধ দিয়ে আবার কোথাও বেড়িবাঁধের চিহ্নও না থাকার কারণে সাগরের লোনাপানি গ্রাম-জনপদ ও ফসলের জমি প্লাবিত করছে নিয়মিত জোয়ার-ভাটায়। গত ২১ মে শনিবার ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস ‘রোয়ানুর’ আঘাতে আগের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধের সাথে আরো নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে করে নিয়মিত সামুদ্রিক জোয়ারে ডুবভাসি করছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। জীবন ও জীবিকা নিয়ে নিদারুণ অসহায় হয়ে পড়েছে লাখ লাখ উপকূলবাসী।
অতীতে দেশী ও বিদেশী বিপুল অংকের অর্থ বরাদ্দ বাবদ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকু-, সন্দ্বীপ, পতেঙ্গা, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলা জেলাসহ সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার বা মেরামতের কাজ চলেছে একের পর এক। কিন্তু কাজের মান নিয়ে উপযুক্ত তদারকি, যাচাই, কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতিার কোনো বালাই ছিল না। বেড়িবাঁধের মানসম্মত কাজ হয়নি কোথাও। অধিকাংশ জায়গায় বেড়িবাঁধ টেকেনি, বিরান হয়ে গেছে সাগরের পেটে। এতে করে উপকূলবাসীর ভাগ্য ফেরেনি। তাদের মূল সমস্যা, দাবি তথা বেড়িবাঁধের অভাব যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আজো রয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের পেছনে সীমাহীন দুর্নীতি, কারচুপি এবং এর মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দ বাবদ শত শত কোটি টাকা লুটপাটকারী চক্রকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে সাজা দেয়ার দাবি উঠলেও তা কখনও আমলে নেয়া হয়নি। এতে যথেচ্ছ নি¤œমানের কাজ গছিয়ে দিয়ে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেও পার পাওয়া খুবই সহজ হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, দুবলারচরসহ দেশের ৭১৫ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূলভাগ, চর ও দ্বীপাঞ্চলসমূহ স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে আজো অরক্ষিত অবস্থায় রয়ে গেছে। এখনও উপকূলবাসী তাকিয়ে আছে স্থায়ী বেড়িবাঁধের আশায়।
নামকাওয়াস্তে বালির বাঁধ : প্রকাশিত খবরে আরো জানা গেছে, দেশের সাগর উপকূলভাগে, চর ও দ্বীপাঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজের নামে সবসময়ই শুভংকরের ফাঁকি, নানা কায়দা-অপকৌশলে অনিয়ম, অব্যবস্থা, আগাম কমিশন, ঘুষ ও দুর্নীতি ‘নিয়মে’ পরিণত হয়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ, মেরামতে জোড়াতালির কাজের নামে নয়-ছয় করে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট করে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা। বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ আদৌ মানসম্মতভাবে করা হয়নি এমন অভিযোগ রয়েছে সর্বত্রই। নিছক বালি ফেলে বাঁধ নির্মাণ কিংবা মেরামত কাজের লোক দেখানো ‘মহড়া’ দেয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি আর জোয়ারের সময় সেই বালি আবারো চলে গেছে সাগরের পেটে। এভাবে ঘন ঘন বেড়িবাঁধ ধসে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে গেলেই সংঘবদ্ধ ঠিকাদার নামধারী লুটেরা চক্র আবার কমিশন দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেয়। অর্থাৎ বাঁধ যায়, আবার নতুন কাজ আসে। নামেমাত্র কাজ করেই শত শত কোটি টাকার বিল তুলে নিয়ে সটকে পড়ে। দেশের বেড়িবাঁধের কাজে পালাক্রমে বছর বছর তাই চলছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজের সময় তা যথেষ্ট উঁচু করেও করা হয়নি। সামুদ্রিক জোয়ারের সমান উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করা হয়েছে। এতে করে জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে লবণের মাঠ, ফসলি জমি ও মাইলের পর মাইল লোকালয় ভাসিয়ে দিচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক এবং নকশা অনুযায়ী যথেষ্ট উঁচু ও মজবুত করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজ সম্পন্ন না করার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তা উপকূলবাসী লাখ লাখ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারছে না। ফলে বাস্তবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে বেড়িবাঁধ। সাগর উপকূলবাসী সচেতন মহল বলেছেন, মাটি আর পানির কাজে সঠিক হিসাব পাওয়া খুবই কঠিন। সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতাদের পোষা ঠিকাদার ও পাউবো’র একশ্রেণীর দলবাজ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সেই সুযোগটিই বরাবর নিয়ে থাকে। দেখা গেছে, সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার পর ১০০ কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজে বাস্তবে কাজ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার। আর বেশির ভাগ টাকাই ঢুকেছে দুর্নীতিবাজ লুটেরা চক্রের পকেটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, দেশের দ্বীপাঞ্চল ও বিশাল উপকূলভাগে শতকরা ৩৫ ভাগ জায়গায় বেড়িবাঁধের চিহ্ন অনেক আগেই মুছে গেছে। উপকূলের প্রায় ৪৫ ভাগ বেড়িবাঁধ কমবেশি বিধ্বস্ত ও নড়বড়ে অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাদ বাকি ২০ ভাগ জায়গায় বেড়িবাঁধ থাকলেও তা অনেকক্ষেত্রে সামুদ্রিক জোয়ারের চেয়ে যথেষ্ট উঁচু, মজবুত ও মানসম্মত নয়।
গত ২১ মে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়ের সাথে জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণভাবে এবং ১৭০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে করে সামুদ্রিক জোয়ারের লোনা পানিতে নিয়মিত প্লাবিত হচ্ছে বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল। দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলের স্থায়ী প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধের অভাবেই জানমালের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কেবল বেড়েই চলেছে। সরকারী হিসাব মতে, শুধু চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় ৫ লাখ উপকূলবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোয়ানু’র মতো প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস সংঘটিত হওয়ার পর উপকূলবাসীর জোরালো দাবি সত্ত্বেও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে উপকূলবাসীকে সুরক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয় না। এটাই তাদের বড় আক্ষেপ।
বারবার বরাদ্দ আসে : বাঁধ টেকে না
প্রায় প্রতিবছরই সরকারী বরাদ্দ আসে। কিন্তু অনিয়ম, অব্যবস্থা, অদক্ষতা, দলবাজি, কমিশনবাজি, ঘুষ- দুর্নীতি ও সীমাহীন লুটপাটের কারণে সেই বেড়িবাঁধ আর টেকে না। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল সংঘটিত ভয়াল সেই ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পর থেকেই উপকূলবাসীর সর্বস্বহারা বেশ কয়েক কোটি মানুষের প্রত্যাশা উপকূল-দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মিত হবে।
তারা সেই তখন থেকেই স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন-নিবেদন করে আসছে। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বিপুল অংকের বরাদ্দও আসে। কিন্তু সেই বরাদ্দকৃত অর্থ একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ আমলা ও ঠিকাদার নামধারী সংঘবদ্ধ লুটেরাচক্র ব্যাপকভাবে লুটপাট করে নিয়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের নামে সরকারের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে দায়সারা গোছের বালির বাঁধ তৈরী করা হলেও তা আর টেকেনি। জোয়ারের পানিতে দ্রুতই চলে গেছে সাগরের পেটে। চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রত্যন্ত উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীতে এবার ‘রোয়ানু’ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ৯ জনের প্রাণহানিসহ এলাকাবাসীর সহায়-সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বেশী। বাঁশখালী উপকূলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার নতুন করে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল অনেক আগেই। কিন্তু বেড়িবাঁধের নির্মাণ ও মেরামতের কাজ এখনো সেখানে শুরু করা হলো না কেন? এ প্রশ্নটাই চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সূত্র জানিয়েছে, এবারের ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাঁশখালী উপজেলার বর্তমানে ছুনুয়া, গন্ডামারা, খানখানাবাদ, শেখেরখীল, কাথরিয়া, সরল, পুকুরিয়া, সাধনপুর, পুঁইছড়ি, বাহারছড়াসহ বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অভ্যন্তরীণ মিলে প্রায় ৪৪, ৪৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক অথবা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি টাকারও বেশি। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পর গত ২২ মে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশখালী পরিদর্শনকালে তাকে এলাকাবাসী ঘিরে ধরে দাবি তুলেছে- আমরা সরকারের রিলিফ চাই না, স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই’।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস রোয়ানু’র ছোবলে চট্টগ্রামের আনোয়ারা সমুদ্র উপকূলভাগে প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। আনোয়ারা উপকূলে ৭৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নামেমাত্র থাকলেও এর প্রায় ৯৫ ভাগেরই এখন আর কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। নিয়মিত সামুদ্রিক জোয়ারের লোনা পানিতে বিশাল উপকূলীয় এলাকা ডুবভাসি করছে। মাছের ঘের, ফসলি জমি, জনবসতি প্লাবিত হচ্ছে। বিগত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রায়পুর এলাকায় বেড়িবাঁধের ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার দায়সারা গোছের মেরামত কাজ হলেও তা আদৌ মানসম্মত হয়নি। ফলে কাজ শেষ হতে না হতেই তা সাগরের পেটে চলে গেছে। পাউবো সূত্র আরো জানায় যে, আনোয়ারা উপকূলে বেড়িবাঁধের স্থায়ী নির্মাণ ও সংস্কার কাজে প্রায় ২৮০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে একটি প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে চট্টগ্রাম মহানগর উপকণ্ঠের পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলী, ফৌজদারহাট, ভাটিয়ারী, জেলার সীতাকু-, সনদ্বীপ, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়াসহ বিস্তীর্ণ উপকূলবাসীর জানমাল সুরক্ষা অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম এলাকায় প্রায় ৪শ’ কিলোমিটার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করে আসছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ কাজে প্রতিবছর গড়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শুধু বিগত দেড় দশকের হিসাব ধরা হলেও কমপক্ষে ৭৫০ কোটি টাকা খরচ করেও চট্টগ্রামের উপকূলভাগে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ আজো নির্মাণ করা হয়নি কেন? সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি), অনুন্নয়ন রাজস্ব খাত ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় শত শত কোটি টাকা খরচ করা হয় বেড়িবাঁধের নির্মাণ ও মেরামত কাজে। অথচ সেই দায়সারা গোছের কাজে উপকূলবাসীর সুদিন ফিরেনি। নাজুক অবস্থাতেই রয়ে গেছে উপকূলব্যাপী বেড়িবাঁধ। স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় দেশের বিশাল উপকূলীয় এলাকা অরক্ষিত থাকবে কেন?

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ