শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গুরুত্বের সাথে কাভারেজ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনলাইনে শনিবার ধানমন্ডির জিগাতলায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা সংক্রান্ত খবরের শিরোনাম ছিলো ‘ঢাকায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা’। বিবিসি লিখেছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে এই আন্দোলনের ওপর হামলায় ২৫ জনের মতো আহত হয়েছে।... কারা এই হামলা করেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে স্থানীয় মিডিয়া এই হামলাকার জন্য ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনকে দায়ী করেছে।
‘সরকার ২৪ ঘণ্টার জন্য কিছু এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে’ বলেও বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে আল জাজিরা অনলাইনের খবরেও। রোববার দুপুরে আল জাজিরা অনলাইনের প্রধান খবর ছিলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে। খবরের শিরোনাম, ‘বিক্ষোভ তীব্র হচ্ছে, সংঘর্ষ চলছে’। আল জাজিরা বলেছে, ‘বাংলাদেশে এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের মধ্য দিয়েই সংঘাত চলছে’। এই আন্দোলনে লাখো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে বলে উল্লেখ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের ক্রেডিট দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন অনলাইন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়কের দখল নিয়েছে।
আরেক মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম, বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ। আরেক প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট এ বিষয়ক সংবাদের শিরোনাম করেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের অনেক এলাকা অচল করে দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, গত সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর তাদের সহপাঠিরা বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। এরপর লাখো শিক্ষার্থী রাজধানী অনেকটাই অচল করে দেয়। তাদের অনেকেই ছিলো স্কুল ইউনিফর্ম পরিহিত। ছাত্ররা বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তা ও পরিবহন বন্ধ করে দেয়। তারা সড়কে নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছে। দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার লোক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ