মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কবিতা

লিরিক

জাকির আজাদ

 

(১)

প্রেমে ভরা এই হৃদয়ে

দুঃখ কষ্ট ঢুকে,

পাথর খোদাইয়ের মতো

নিত্য যাচ্ছে ঠুকে।

খুব কুশলে আমি আছি

বলি কোন মুখে,

দুঃখ তুমি কষ্ট তুমি

সরে আছে সুখে।

 

(২)

সব আনন্দ ইচ্ছা আশা

জীবন থেকে তুলে,

দিয়েছিলাম গা-ে পি-ে

তুমি নামক ভুলে।

এখন তুমি রূপ সুষমায়

তীব্র ফেঁপে ফুলে,

ঘৃণা নিন্দায় নিচ্ছো মাসুল

ভুলের পাঁজর খুলে।

 

নিঝুম সন্ধ্যা

সুজিত হালদার

 

এই পরন্ত বিকেল

এই নিঝুম সন্ধ্যায়

অপরূপ রূপের পসরা সাজিয়ে

বসে আছো উন্মুখ পথ চেয়ে

আমারই প্রতীক্ষায়;

আর আমি সৃজলশীল আড্ডায়

নিজেকে সঁপে দেবো

এই ভাবনায় মশগুল।

কখন বাতাস চুপি চুপি

কানে কানে তোমায় বলেছিলো

আমি আসছি- বনেরও মর্মর 

প্রতিধ্বনি- যে বাঁশী ফেলে এসেছি

তা বেজে বেজে আমাকে বলছে

তুমি আমাকে ডাকছো।

আমি তো মিনি কক্সবাজার চাইনিজ

রেস্টুরেন্টে বসে কফিতে চুমুক দিচ্ছি।

আর তোমাকে দেখছি রাগে অনুরাগে

গোধুলীরও রঙে- 

রঙিন চশমা পরে বয়ে চলছো 

একরাশ প্রাণবন্ত হাসি লয়ে

উচ্ছল উজল একমুঠো জল

গড়িয়ে দিয়ে গেলে আমার আঙিনায়।

হে প্রমত্তা পলিবিধৌত পদ্মা

তোমার জলতরঙ্গের ঢেউ

নেচে নেচে আমাকে সাজায়।

হায়রে নদী! ভালোবাসো যদি

একটু দাঁড়াও, আরও একটু অপেক্ষা কর

আমি আসছি তোমারই বক্ষে

লুটিয়ে দেবো বক্ষ।

আসুক মধুমাস, যতই হোক সর্বনাশ

নিঝুমও সন্ধ্যায় আমি আসবো

উদাস মেঘের দেশে

তোমার সোহাগে মেশে

হবো একাকার ॥

 

মৃত্যুর অপেক্ষা

শাফিউল কায়েস

 

আজ আমি ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারছি না,

এমন হয়নি কোনদিন,

অ্যালভিওলাসগুলো ক্ষীণ হয়ে আসছে দিন দিন।

বুকের বামদিকটা ভীষণ  চিন চিন করছে,

মেরুদেশীয় অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে।

 

 চোখ দিয়ে যা দেখি সবকিছু ঝাপসা লাগে,

শব্দগুলোর আওয়াজ কম কম লাগে কর্ণ ভাগে।

পাকস্থলীটা  খবার পরিপাকে অমনোযোগী,

দাঁত যে কটা আছে,তা নিয়ে আজ আমি ভুক্তভোগী।

 

মাথার চুলগুলো উঠে শেষ হয়েছে কবে,

জীবন শকটে কত কাজ,কত টেনশন কীভাবে আর চুল রবে।

শিরাধমনি আর ঠিক মতো রক্তসঞ্চারকের কাজ করে না,

হৃদস্পদনও আজ ঠিকমতো হয় না।

 

স্মৃতিশক্তি একেবারে পেয়েছে হ্রাস,

এখন সবকিছু  যাই ভুলে, মাঝে মাঝে মনে জাগে ত্রাস।

এখন শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনি, বিছানাতে শুয়ে,

এই বুঝি দেহ আমার পড়ে গেলো নুয়ে।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ