শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

একটি ব্রিজের অভাবে আটকে গেছে মির্জাপুর-অষ্ট্রমণিষা এলাকার উন্নয়ন

শাহজাহান তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে: চলনবিলে আবহমান কাল থেকে ব্রিজ কালভার্টের অভাবে জনদুর্ভোগ লেগেই আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনুন্নতই থেকে গেল খেয়াঘাট ও নদীপারাপার। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদীতে মির্জাপুর এলাকায় কোন ব্রীজ না থাকায় প্রতি দিন স্কুল মাদ্রাসা কলেজগামী শত শত শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হতে হচ্ছে। বছরের পর বছর এ অবস্থা চলে আসলেও নদীটিতে ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয় নি কেউ। শুধু স্কুল কলেজগামী ছাত্র ছাত্রীই নয় এলাকার হাজার হাজার মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন পার হতে হয় এ নদীটি। মির্জাপুর কলেজের প্রফেসর তৈয়্যুব আলী ,সমাজ সেবক মাওলানা রফিকুল ইসলাম,মাওলানা আঃ লতিফ জানান,এই নদীর উত্তর পাড়ে মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজ, মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা, উচ্চবিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর হাট ও নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ আবস্থিত। দক্ষিণ পাড়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদ, অষ্টমনিষা উচ্চবিদ্যালয়, অষ্টমনিষা হাসিনা মোমিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, অষ্টমনিষা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, অষ্টমনিষা বাজারসহ আরো কয়েকটি ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। নদীর দুই পাড়ে অন্তত ১৫ টি সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনহিতকর কার্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির সময় প্রতি খেয়ায় অন্তত ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষার্থী নদী পাড় হতে হুড়ো হুরী করে নৌকায় ওঠে। এসময় নৌকা বোঝাই হয়ে যায়। ডুবে যাওয়ার ভয় থাকে। থাকে প্রান হানীর আশংকা ও।
মির্জাপুর গ্রামের মাঝ বয়সী জিল্লুর রহমান জানান, ছোট বেলা থেকে আমরা মির্জাপুর নৌঘাটের এ অবস্থা দেখে আসছি। এখানে একটি ব্রীজের অভাবে নদীর দুই পাড়ের দশ পনেরোটি প্রতিষ্ঠানসহ ২০ থেকে ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে যখন নদী পানিতে ভরে যায়, নদীর জলভাগের আয়তন বেড়ে যায় তখন পারাপারের অপেক্ষায় অনেক সময় বসে থাকতে হয়।
সন্তান সম্ভবা মা বোন অসুস্থ্য রোগী নিয়ে বিপাকে পরতে হয় আমাদের। এখানে দ্রুত একটা বীজ নির্মাণ প্রয়োজন। এলাকার ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা কৃষক ব্যবসায়ীসহ সর্ব শ্রেণীর মানুষ গুমানী নদীর মির্জাপুর পয়েন্টে ব্রীজ নির্মানের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৗশলী এম শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোপূর্বে এলজিইডি থেকে তথ্য চাওয়া হলে আমরা চাটমোহরের নয়টি স্থানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। তার মধ্যে এটি ও রয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে তবেই হয়তো এখানে ব্রীজ নির্মাণ সম্ভব হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ