শরীয়তপুরে বন্দুক যুদ্ধে মাদক কারবারী নিহত
শরীয়তপুর সংবাদদাতা : শরীয়তপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সুমন পাহাড় (২৪) নামে এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এ সময় ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, গাঁজা, ককটেল ও মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত আড়াইটার সময় উপজেলার পালং ইউনিয়নের ছয়গাঁও সড়কের পাশে শুকুর তালুকদারের মেহগনি বাগানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবি গত ১ সেপ্টেম্বর সুমনকে স্থানীয় একটি দোকানের সামন থেকে কে বা কারা ধরে নিয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করেনি। নিহত সুমন শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর বালুচড়া গ্রামের মৃত এসকান পাহাড়ের ছেলে। পুলিশ জানায়, সুমনের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মাদক ও চাঁদাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। সুমন এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী।
পালং মডেল থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও পালং মডেল থানা পুলিশ জানতে পারে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নে ভেদরগঞ্জ- ছয়গাঁও সড়কের শুকুর তালুকদারের মেহগনি বাগানে কতিপয় মাদক কারবারীরা মাদক ভাগ-বাটোয়ারা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আজাহার আলীর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ ও পালং মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করার জন্য ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ ও গুলীবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলী চালায়। গোলাগুলীর এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে একজনের গুলীবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। লাশটি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী সুমন পাহাড়ের বলে স্থানীয়রা চিহ্নিত করে। এ ঘটনায় এস আই রুপকর, শামিম, পুলিশ সদস্য সামসুজ্জামান ও জিয়াউর রহমান আহত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় নিহত সুমন পাহাড়ের পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট থেকে ৫১ পিচ ইয়াবা ও ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১ কেজি গাঁজা, ৬টি ককটেল এবং ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিহতের ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহিত সুমন পাহাড়ের স্ত্রী বৃষ্টি জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় স্থানীয় এক দোকানের সামনে থেকে কে বা কারা সুমনকে ধরে নিয়ে যায়। এতদিন খোজাখুজির পরেও সুমনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে জানতে পারি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সুমনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুমন পাহাড়ের স্নেহা নামে ২ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সুমন পাহাড় এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। সুমনের বিরুদ্ধে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে মাদক ও চাঁদাবাজী সহ ১১টি মামলা রয়েছে। মাদক কারবারীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আমাদের ৪জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।