আটঘরিয়ায় শহীদ আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি বন্ধ
পাবনা সংবাদদাতা: পাবনার আটঘরিয়ার খিদিরপুর শহীদ আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বের কারণে ১৫ জন শিক্ষক/কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবতৎ বেতন ভাতাদি বন্ধ রয়েছে। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিষয়টি দ্রুত নিরষনের জন্য উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
জানা গেছে, আটঘরিয়ার খিদিরপুর শহীদ আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত ৬ সদস্য পদত্যাগ করায় প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন ও সভাপতি ইকবাল হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন চলািত বছরের ১৭ জানুয়ারি প্রাধান শিক্ষক আফজাল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
বিধি মোতাবেক সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে যে কোন শিক্ষক/কর্মচারী বেতন ভাতাদির অর্ধেক সুবিধা ভোগ করবে কিন্তু এই বিদ্যালয়ের সভাপতি ইকবাল হোসেন প্রধান শিক্ষকসহ আরো তিন সিনিয়র শিক্ষকের বেতন ভাতাদি চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখেন এবং পরবর্তিতে বাকী ১১ শিক্ষক/কর্মচারীর জন মাস থেকে তাদেরও বেতন,ভাতাদি বন্ধ করে দেয় সভাপতি ইকবাল হোসেন।
এদিকে চলতি বছরের ২৭ জন তারিখে সাময়িক বরখাস্থ বিধি মোতাবেক হয়নি মর্মে শিক্ষা বোর্ড সর্বশেষ পরিপত্র জারী করে সকল শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন, ভাতা, বোনাসে সাক্ষরের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নিকট প্রেরণ করলেও তিনি অদ্যবধি কোন বেতন বিলে সাক্ষর করেননি। ফলে সকল শিক্ষক কর্মচারী বেতন, ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষকদেও বেতন বন্ধ থাকলে তার শিক্ষার্থীদের ভালো ভাবে শিক্ষায় মনোযোগী কি করে হবে। তবে দ্রুত নিরসন করে তাদেও বেতন-ভাতা চালুর দাবী জানান তিনি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের কোন তথ্য দিতে রাজি হয়নি। আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আকরাম আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তবে শিক্ষা বোড পরিপত্ত জারী করে থাকলে অবশ্যই শিক্ষক/কর্মচারীদেও বেতন-ভাতাদিতে সভাপতির সাক্ষর দিতে হবে। তবে তিনি বলেন, দ্রুতই বিয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।