চাকুরির খোঁজে এসে ধর্ষণের শিকার প্রতিপক্ষের দাবি সাজানো
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: দাউদকান্দি উপজেলায় চাকুরীর খোঁজে এসে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেছে। প্রতিপক্ষের একাংশের দাবি ঘটনা সাজানো, তবে পিতা পুত্রসহ পাঁচজনকে আসামী করায় এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের কাশেম ফকিরের বাড়িতে বাড়া ছিলেন সারমিন আক্তার সেলি, ওরফে সেলিনা আক্তার সাথী। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি স্থানীয় দোকানে সওদা কিনতে গিয়ে গণ-ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগে ১৩ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া ও স্বামীর বাড়ি জয়পুর হাটের পাঁচ বিবিতে। দাউদকান্দি শহীদ নগরে সোনালী আঁশ জুট মিলে কাজের সন্ধানে এসে সাতপাড়ার তৌহিদ ও রমজানের মাধ্যমে কাশেম ফকিরের বাড়িতে ভাড়ায় উঠেন। ধর্ষন ঘটনায় আজিজুল ও তার ছেলে সোহাগ কে তালিকায় রাখায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি প্রতারক চক্রের মাধ্যমে কিছু ভাসমান দেহ ব্যবসায়ী দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও ফাঁদে ফেলে প্রতারক চক্ররা লাখ লাখ টাকা আদায় করে থাকে। এমন কি তারা জোর করে অশ্লীল দৃশ্যে যেতে বাধ্য করে ছবি তুলে ও ভিডিও ধারনের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকে। ধর্ষণের আলামত প্রমান করতে নিজেরাই অবৈধ মেলামেশায় জরিত হয়ে থাকে। পুলিশ শুক্রবার বাদিনীর মেডিকেল চেক আপের জন্য কুমিল্লা পাঠালেও ডাক্তার না থাকায় গতকাল শনিবার পূনরায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়। এজহার ভুক্ত দু’জনকে পুলিশ আটক করে কোর্টে পাঠালে কোর্ট এদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।