শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট

সোনাতলা (বগুড়া) সংবাদদাতা: বগুড়া সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট চরমে উঠেছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও ২ জন রয়েছেন ঢাকায় ডেপুটেশনে। ফলে চিকিৎসা সেবা চলছে মাত্র ৬ জন চিকিৎসক দিয়ে। যেখানে চিকিৎসক থাকার কথা ছিল ২৬ জন। শুধু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ও ৪জন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও অন্য কোনও বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। শুন্য রয়েছে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পদটিও। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মারাত্মক চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিড়ম্বনায় পরছে।
জানা গেছে, সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রথম পর্যায়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৪ সালে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। ১৪ বছর পূর্বে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসক সংখ্যা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সোনাতলা উপজেলা সদর সহ ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। উপজেলার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও নদী ভাঙ্গন কবলিত। যাদের সরকারী চিকিৎসার একমাত্র পথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়া পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নিকটবর্তী হওয়ায় এলাকাগুলোর রোগীর চাপ থাকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এজন্য সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর ও আউটডোর বিভাগে থাকে রোগীদের উপচে পড়া ভীড়। তবে উপজেলায় ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার রোগীদের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এছাড়া চিকিৎসক সংকটের কারনে দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন ও গর্ভবর্তীদের সিজার বন্ধ রয়েছে।
 সৈানাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানাগেছে, চিকিৎসক সংকট ছাড়াও নার্স ২৪ পদের মধ্যে ২০ জন কর্মরত আছে, ৪টি পদ শুন্য আছে। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ৭৭ পদে ৫৮ জন কর্মরত আছে, ১৯ টি পদ শুন্য আছে। চতুর্থ শ্রেণীর ২৩ টি পদের মধ্যে ১৬ জন কর্মরত আছে, ৭টি পদ শুন্য আছে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৬টি পদের মধ্যে ২৩ জন কর্মরত আছে, ৩টি পদ শুন্য আছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ