শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চার হাজার গায়েবি মামলার শুনানি অবকাশের পর

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া গায়েবি মামলার তদন্ত বন্ধ, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীতে এ ধরনের মামলা না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি অবকাশের পর আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। কিন্তু আদালত মামলাটির ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে বলে আইনজীবীদের জানিয়ে দেন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট এ কে খান। সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সানাউল্লাহ্ মিয়ার পক্ষে এই রিট দায়ের করা হয়।
রিট আবেদনে আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যত গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত বন্ধ এবং এ মামলাগুলোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি করে ঘটনার তদন্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে যেন এ ধরনের মামলা দেওয়া না হয়, তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অগণিত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশি ক্ষমতা অপব্যবহার করে গায়েবি বা আজগুবি মামলা দায়ের করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রিটে সে বিষয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিএমপি রমনা জোনের ডেপুটি ও অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার, রমনা, পল্টন ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মোট নয় জনকে এই রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বলেন, সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সানাউল্লাহ্ মিয়াসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন একাধিক গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়। বিভিন্ন পত্রিকায় এ ধরনের তথ্য উঠে এসেছে যে, আসামীরা যেখানে উপস্থিত ছিলেন না, সেখানেও এই ধরনের মামলা দেওয়া হয়েছে। তাই এ ধরনের মামলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ