শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরেছে টাইগাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার : এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শনিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছান টাইগাররা। ফাইনালে শেষ বলের রোমাঞ্চে ভারতের কাছে ৩ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে টানা দুই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছোঁয়া হলো না টাইগারদের। তবে শিরোপা না পেলেও  দেশে ফিরে দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবারের এশিয়া কাপ ফাইনাল দিয়ে মোট ৬ বার বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। ৬ বারই পরাজিত দলে  থেকেছে বাংলাদেশ। এবার আসরে গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৩৭ রানের জয় দিয়ে আসর শুরু করে টাইগাররা। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ১৩৬ রানে হারলেও আগেই সুপার ফোর নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যে ম্যাচে ৭ উইকেটে হারে মাশরাফির দল। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ রানের জয়ে ফাইনালের পথ বাঁচিয়ে রাখে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত সেমি ফাইনাল ম্যাচটি ৩৭ রানে জিতে পা রাখে ফাইনালে। বিমানবন্দরে মাশরাফি বলেন, ‘যেকোনো একটি শিরোপা জয়ই ভবিষ্যতে নিয়মিত শিরোপার পথ খুলে দেবে। এশিয়া কাপের ইতিবাচক দিকগুলোর ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘অনেক কিছুই আছে। তবে শুরুতেই মিথুন ও লিটনের কথা বলতে হয়। আমাদের দুটি জায়গা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই দুই জায়গার জন্য আমরা যোগ্য কাউকে খুঁজছিলাম। সেই দুই জায়গায় লিটন ও মিঠুন পারফর্ম করেছে, এটা খুবই ইতিবাচক। এখন ওরা কতটুকু উপরে নিয়ে যেতে পারবে,  সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। এক দুই ইনিংসে বলা যায় না সে ফর্মে আছে কি না, তবে আশা করি ওরা বুঝতে পারেছে তাদের সামর্থ্য আছে, এই ধরনের মঞ্চে পারফর্ম করার।’ বিদেশের মাটিতে প্রকিূল আবহাওয়া ও চাপের মুখে এশিয়া কাপ খেলাটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সহায়তা করলো কি না জানতে চাওয়া হলে মাশরাফি জানান, এশিয়া কাপটি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি না হলেও প্রস্তুতির প্রক্রিয়া শুরুর একটি ধাপ বলা যায়। আসলে এভাবে বলা কঠিন, কারণ বিশ্বকাপের এখনো ৮-১০ মাস বাকি। এর আগেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। ততদিন দলে কে থাকবে কে থাকবে না এটা বলা কঠিন। তবে প্রক্রিয়াটা শুরু হচ্ছে এখন  থেকে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে হয়তো পুরো দমে শুরু হয়ে যাবে। এর মধ্যে দল দাঁড় করানো খুব জরুরী।’ স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় উঠে আসে লিটনের আউটের বিষয়টি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে রাজি হননি অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি খানিক রসিকতার সাথে এড়িয়ে যান এ প্রশ্নটি। ফাইনাল ম্যাচে  স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ ফি'র ৪০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে অধিনায়ক মাশরাফিকে। সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে অধিনায়ক বলেন, 'দেখুন, এমনিতেই স্লো ওভার েেরটের কারণে ম্যাচ ফি'র ৪০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে এসেছি। আর কোনো জরিমানা দেয়ার ইচ্ছে নেই।' মাশরাফির এমন উত্তরে বিষয়টা বেশ পরিষ্কার যে লিটনের আউটের ব্যাপারে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ দল। সে কারণেই এটির ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে হয়তো বিতর্কিত বক্তব্যই দিয়ে বসবেন অধিনায়ক। তাই নীরবে আউটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি এড়িয়ে যান মাশরাফি। অবশ্য এটিকে নিয়ে আলোচনা করে আর ফায়দাই বা কি? ম্যাচের ফলাফলে যে কোনো পরিবর্তন আর আসবে না। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম  ফেসবুকে ক্রিকেটের বাইরে গিয়ে দেশবাসীর জন্য বিশেষ এক বার্তা প্রদান করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। যেখানে তিনি দেশের মানুষদের অনুরোধ করেন নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজেদের কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্য। তিনি জানান,‘নাহ! এবারও হলো না! আমরা যখন মাঠে খেলি তখন আমরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি দেশকে যেন জিতাতে পারি। তখন মুশফিক পাজরের ব্যাথা নিয়ে ব্যাটিং করে টানা তিন ঘন্টা, সাকিব হাতে সেলাই নিয়ে খেলে, তামিম ভাঙা হাত নিয়ে নেমে পরে ব্যাটিং করতে একহাতে। আমরা ক্রিকেটের ছোট পরিসরে একটা জয় দিয়ে যদি ১৬ কোটি মানুষের মুখে হাসি দিতে পারি, তাহলে একবার চিন্তাা করে দেখেন তো যদি সবাই মিলে নিজের স্থান থেকে যদি দেশের জন্য কিছু করি তাহলে দেশটার কি আমুল পরিবর্তন করতে পারি। শুধু দরকার একটু দায়িত্ববোধ ও চেষ্টার। আসুন না আমরা সবাই মিলে একবার চেষ্টা করেই দেখি এই লাল সবুজের পতাকাটার জন্য। আমরা প্রতিদিনই জিতার চেষ্টা করি আজকে না হয় হারলাম, নিশ্চয়ই কালকে আবার জিতব। দেখা হবে আবার।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ