রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য শহরে ধুলাদূষণ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য শহরে ধুলাদূষণ বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মাববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামসহ (নাসফ) ১৬টি পরিবেশবাদী সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, সহ-সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-এর সৈয়দা অনন্যা রহমান, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি মো. নাজিমউদ্দীন প্রমুখ।
মানববন্ধনে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম-নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধুলাদূষণ অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই মৌসুমেই হাজার হাজার ইটভাটায় ইট প্রস্তুত ও পোড়ানোর পাশাপাশি মহানগরীতে অপরিকল্পিতভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেনেজ এবং রাস্তাঘাট উন্নয়ন, মেরামত ও সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় রাস্তা-ঘাট খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বাড়ে। নির্মাণসামগ্রী উন্মুক্তভাবে ট্রাকে করে শহরে পরিবহন করা হচ্ছে। ড্রেন পরিষ্কার করে রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। দোকানপাট ও গৃহস্থালির আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় যানবাহন চলাচল, ভবন নির্মাণের সময় মাটি, বালু, ইটসহ অন্যান্য নির্মাণসামগ্রীর কারণে শহরে ধুলাদূষণ হচ্ছে। এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ধুলাদূষণে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, এলার্জি, চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগ-ব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ধুলাদূষণে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি যেমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে তেমনি আর্থিক ও পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অবিলম্বে ধুলাদূষণ বন্ধে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরে মানববন্ধন থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।