শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর নিখোঁজ সোহাগের সন্ধানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাইলেন স্ত্রী খাদিজা

 

স্টাফ রিপোর্টার : আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে গত ২৬ নবেম্বর অনলাইন এক্টিভিস্ট রবিউল আউয়াল সোহাগকে কুমিল্লা থেকে তুলে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান পাচ্ছে না তার পরিবার। ঢাকায় তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার স্বামীকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী, র‌্যাব, পুলিশের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনলাইন এক্টিভিস্টা রবিউল আউয়ালের সন্ধ্যান দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তার পরিবার। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রবিউলের পিতা শফিকুল ইসলাম, মাতা মরিয়ম বেগম, বোন জামাই মাসুম এবং শ্যালক ইমদাদুল ইসলাম।  

খাদিজা আক্তার তার লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার স্বামী মোঃ রবিউল আউয়াল (২৫) একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট। মূলত তিনি লেখালেখির সাথে জড়িত ছিলেন। আমাদের জানামতে তিনি রাষ্ট্র বা সমাজ বিরোধী কোনো কাজের সাথে কখনোই জড়িত ছিলেন না।

তিনি বলেন, গত নবেম্বর মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে আমাদের বাসার ক্যাবল অপারেটর আমার স্বামী মোঃ রবিউল আউয়াল সোহাগকে (২৫) ফোন দিয়েছিলেন। পরক্ষণে আমার স্বামীকেসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে বাসায় আসেন। তারপর আমার স্বামীকে আমাদের বাসার নিচে রেখে আমাদের ফ্ল্যাটে ডিবি পরিচয় দিয়ে বাসা থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ অনলাইন সংক্রান্ত অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে যান।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিকটবর্তী থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করি, ডায়েরি নাম্বার হলো- ১৮০০। তারপর আমরা সদর দক্ষিণ মডেল থানা, কুমিল্লায় যোগাযোগ করতে থাকি। আমাদেরকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল ৫ তারিখ এর মধ্যে একটা খবর পাওয়া যাবে। এর মধ্যে গতকালকেও আমরা ডিবি অফিস ও র‌্যাব অফিস এ খবর নেই। কিন্তু তারা বলেন এরকম কোনো লোককে আনা হয়নি। এমতাবস্থায় আপনাদের নিকট আমাদের আকূল আবেদন, দয়া করে আমার স্বামীকে ফিরে পেতে আপনারা সাহায্য করুন। তিনি সকল মানবাধিকার সংগঠনসহ সকল অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। 

তিনি বলেন, আমার জানামতে আমার স্বামী কোনপ্রকার রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড বা কোন অপরাধচক্রের সাথে জড়িত নন। প্রকাশ্য দিবালোকে একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে আবার অস্বীকার করা মানবাধিকার ও আইনের শাসন পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। অবিলম্বে তার সন্ধানসহ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। 

তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী আমাদের পুরো পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলেন, আমার দুই বছরের একমাত্র শিশুসন্তানের বাবা। আমার স্বামী যদি আমাদের অজান্তে কোন প্রকার অপরাধ করেও থাকে তাহলে আইন মোতাবেক আদালতে হাজির করে বিচার করা হোক। একজন নাগরিককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করা  সাংবিধানিক নিয়ম। খাতিজা তার স্বামীকে ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী, র‌্যাব, পুলিশসহ সকলের নিকট আকূল আবেদন জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ