শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

জাতি বর্তমানে এক ফ্যাসিবাদী পরিস্থিতির মধ্যে বিচরণ করছে

রাজশাহী অফিস : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতি বর্তমানে এক ফ্যাসিবাদী পরিস্থিতির মধ্যে বিচরণ করছে। এখানে গণতন্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে হত্যা করে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েমের পায়তারা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র কলাভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লেখক ফোরাম ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র : লেখকদের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজন করে।  বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ও কলামিস্ট প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় ও লেখক ফোরামের সভাপতি ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এই বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ড. ফখরুল ইসলাম, প্রাণীবিদ্য বিভাগের প্রফেসর ও রাবি সিন্ডিকেট সদস্য ড. মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সরকার, প্রফেসর ড. সি. এম মোস্তফা, কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, উর্দু বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিশিষ্ট কথাশিল্পী ডা. নাজিব ওয়াদুদ, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, প্রফেসর ড. শফিউর রহমান, চট্টগ্রামের কবি ও প্রাবন্ধিক মাঈন উদ্দিন জাহেদ, কবি ও সম্পাদক আবু সাঈদ মুহাম্মদ হান্নান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আমজাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে আমরা ফ্যাসিবাদের মধ্যে বিচরণ করছি। বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে দেখতে পাই, আমরা আমাদের সাধারণ মতামতটুকু দিতে পারছি না। লেখকরা তাদের লেখনীর মাধ্যেমে মনের ভাবটুকু প্রকাশ করতে পারছেন না। বর্তমানে যারা বাক-স্বাধীনতার পক্ষে লিখছেন তাদের উপর নানা অজুহাতে হামলা-মামলা করা হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আর যারা লিখছেন তারা কোনো না কোনো ভাবে সরকারের দালালী করছেন। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে দেশ ও জাতিকে নিয়ে বিভ্রান্তির খেলায় লিপ্ত হয়েছেন। কথাশিল্পী ডা. নাজিব ওয়াদুদ বলেন, গণতন্ত্রের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের দিকে তাকাতে হবে। কারণ এখানে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে হত্যা করে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করার পায়তারা করা হচ্ছে। এসময় তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক লেখক একজন প্রান্তিক ও নিঃসঙ্গ মানুষ। কারণ তারা পরের কথায় না লিখে লেখেন নিজের মনের, বিবেক-বুদ্ধি দ্বারা চালিত হয়ে। যেহেতু লেখক সমাজে বাস করেন। তাই তিনি সেই সমাজের অংশ হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে লেখেন। আর যেহেতু তার পাঠক ওই সমাজেরই অংশ তাই তার প্রধান কাজ হচ্ছে সমাজের দ্বন্দ্বকে সনাক্ত করা এবং তার লেখনীর মাধ্যমে ওই দ্বন্দ্ব বা ফাঁক দূর করা। তবে বর্তমানে যারা লিখছেন তারা এক ধরণের সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী ধারা। তারা সমাজের দ্বন্দ্ব-কলহ দূর করতে ভূমিকা না রেখে একটি দলের পক্ষ নিয়ে সমাজের মানুষের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চেষ্টা করছেন। বৈঠকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখক ফোরাম ও কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে একটি জাতীয় লেখক ফোরাম গঠনের দাবি জানানো হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ