শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দেশের ১১ খাতের মধ্যে চা শ্রমিকদের বেতন সবচেয়ে কম

মুহাম্মদ নূরে আলম: মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চা শ্রমিকদের দাস হিসেবে ব্যবহার করেছিল ব্রিটিশরা। সেই শাসক শ্রেণি চলে গেলেও বঞ্চনা যেন এখনো রয়ে গেছে। পুরো দেশের উন্নয়ন হলেও চা শ্রমিকদের জীবনমানে খুব একটা উন্নয়ন হয়নি। আইন থাকলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসনসহ সব দিকেই তারা বঞ্চনার শিকার। এমনকি দেশের উল্লেখযোগ্য ১১টি খাতের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতনে চাকরি করে চা শ্রমিকরা। সরকার, বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একটি যৌক্তিক, ন্যায্য এবং অন্যান্য খাতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পাশাপাশি প্রতি দুই বছর পরপর তা হালনাগাদ করার সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। 

গবেষণায় বলা হয়, চা বাগানের শ্রমিকদের সর্বশেষ চুক্তিতে দৈনিক মজুরি মাত্র ১০২ টাকা ধরা হয়েছে যা দেশের অন্য খাতের শ্রমিকদের তুলনায় অনেক কম। আবার ক্যাশ প্লাকিং, নির্ধারিত টার্গেটের অতিরিক্ত পাতা তোলা ও অতিরিক্ত কর্মঘন্টার জন্য শ্রম আইন অনুযায়ী মূল মজুরির দ্বিগুণ মজুরি দেয়ার নিয়ম থাকলেও কোনো বাগানেই তা দেওয়া হয় না। অনেক বাগানেই আবার অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ী শ্রমিকদের সমান বেতন দেয়া হয় না। এছাড়া পাতা ওজন করার সময় অনেক বাগানেই সঠিক পরিমাপ করা হয় না বলে শ্রমিকরা ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হয়। “চা বাগানের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার টিআইবি’র ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণসহ শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ, অধিকার ও জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৮ দফা সুপারিশ পেশ করে টিআইবি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার দিপু রায়। গবেষক দলের অপর দুইজন সদস্য ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. গোলাম মোস্তফা এবং ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার রবিউল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের প্রথাগত ৬৪টি বাগান (৪১টি মূল বাগান ও ২৩টি ফাঁড়ি বাগান) থেকে ১হাজার ৯১১ জন স্থায়ী শ্রমিকের সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মূখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাতকার ও দলীয় আলোচনার মাধ্যমে এই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণাটিতে শ্রম আইনে চা শ্রমিকদের জন্য বৈষম্যমূলক আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধনের সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে শ্রম আইনে বর্ণিত ছুটি, ভবিষ্য তহবিল, আবাসন, চিকিৎসা, দলীয় বীমা ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে যে বিধিমালা রয়েছে চা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তা পর্যবেক্ষণ করে আইনী সীমাবদ্ধতা ও প্রায়োগিক চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের সাপ্তাহিক অবসর ভাতা প্রদান; স্থায়ী শ্রমিকদের মজুরির ৭.৫% হিসেবে ভবিষ্য তহবিল দেয়া; ২০ দিন অসুস্থতাজনিত ছুটি দেয়া- যা শ্রম আইনে ১৪ দিন এবং ১৪ দিন উৎসব ছুটি দেয়া- যা শ্রম আইনে ১১ দিন; ২ টাকা কেজি দরে রেশন দেয়া ও একজন স্থায়ী শ্রমিকের জন্য সর্বোচ্চ তিন জনকে পোষ্য হিসেবে রেশন দেওয়াসহ বেশ কিছু বাগানে ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬  মার্চ এ খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ইত্যাদি। 

গবেষণায় দেখা যায়, জরিপ সময় থেকে পূর্বের এক সপ্তাহের পাতা উত্তোলনের হিসাব যারা বলতে পেরেছে (৬০.৩৯%) তাদের মধ্যে ৬১.৩% শ্রমিক বিভিন্ন অজুহাতে পাতার ওজন কম দেখানোর কথা বলেন, যার প্রাক্কলিত আর্থিক মূল্য পাতা উত্তোলনের ভরা মওসুমে সপ্তাহে ৩১ লক্ষ ২ হাজার ৪৩৫ টাকা (সকল বাগানের মোট ১ লক্ষ ৮৪৩ জন শ্রমিকের হিসেবে)। উৎসব ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে দেখা যায়, চুক্তি অনুযায়ী কোনো শ্রমিক বিগত বছরে কমপক্ষে ২৫০ দিন কাজ করলেই কেবল ১০০% বোনাস পাবে অন্যথায় কম উপস্থিতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হারে বোনাস কাটা হয়। এক্ষেত্রে বাবুদের ঠিকমত হাজিরা না তোলা, শ্রমিকদের জন্য কোনো সার্ভিসবুক চালু না থাকা এবং শ্রমিকদের কাজের দিনের হিসাব ঠিকমতো রাখতে না পারায় বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের অনুপস্থিত দেখিয়ে শ্রমিকদের উৎসব ভাতা কম দেয়।

গবেষণা অনুযায়ী, শ্রম আইনে শ্রমিকদের স্থায়ী করার সময়ে নিয়োগ পত্র ও আইডি কার্ড দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোনো বাগানেই তা দেওয়া হয় না; নিয়োগপত্রের বিকল্প হিসেবে সি- ফরম দেওয়ার কথা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে উল্লেখ থাকলেও ৯২.৯% কে কোনো নথি সরবরাহ করা হয়নি। এছাড়া চা শ্রমিকদের ছুটি প্রদানের ক্ষেত্রেও সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। অনেক বাগানে অসুস্থতাজনিত ছুটি নিতে গেলে বাগানের চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত ব্যক্তির কাছ থেকে অসুস্থতাজনিত প্রতিবেদন নিতে হয় বিধায় অনেক সময় অসুস্থ শরীর নিয়ে দায়িত্বরত ব্যক্তির জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে বসে থাকতে হয়, যা কষ্ট সাধ্য ও অমানবিক। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রেও জরিপ চলাকালীন সময় থেকে গত পাঁচ বছরে ১০.০% নারী শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটি পান নি এবং যারা পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১০.০% শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ে মজুরি পান নি। চা শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে গবেষণায় দেখা যায়, শ্রম বিধিমালায় প্রত্যেক চা বাগানের কাজের জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পানি সরবরাহের সুব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও কোনো বাগানেই স্থায়ী ব্যবস্থা যেমন নলকূপ বা কূয়ার ব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা। শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামাগার থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বেশিরভাগ বাগানেই বিশ্রামাগার নেই। এছাড়া বাগানে কাজ করার সময় শ্রমিকদের সাপ, জোঁক ও বিষাক্ত পোকার আক্রমণ ও উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে চা বাগানে ওষুধ বা চুন ছিটানোর জন্য বারবার বলা হলেও বাগান কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয় না। কীটনাশক ছিটানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস বা জুতা, চশমা, টুপি ইত্যাদি বাগান কর্তৃপক্ষের দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তাদের মধ্যে ৫৭.০% শ্রমিকদের বাগান থেকে কিছুই দেয়া হয় না বলেও তথ্য পাওয়া যায়।

গবেষণায় দেখা যায়, শ্রম বিধিমালায় বাগান মালিক কর্তৃক প্রতিটি শ্রমিক ও তার পরিবারের বসবাসের জন্য বিনামূল্যে বাসগৃহের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও বিটিবি’র তথ্য অনুযায়ী ৩২ হাজার ২৯৯ জন স্থায়ী শ্রমিক ও অন্য অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা কোনো আবাসন বরাদ্দ করা হয় নি। এছাড়া আবাসনে পর্যাপ্ত আলো, খাবার পানি, শৌচাগার ইত্যাদির ক্ষেত্রেও নানা ধরনের অবহেলা ও অপর্যাপ্ততা দেখা যায়। 

গবেষণা অনুযায়ী শ্রমিকদের চিকিৎসা ও তাদের সন্তানদের পড়ালেখার ক্ষেত্রেও নানা অনিয়ম ও সুশাসনের ঘাটতি দেখা যায়। বিধিমালায় শ্রমিকদের সন্তানদের বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার কথা থাকলেও মাত্র ২৪টি বাগানে বাগান কর্তৃপক্ষের স্কুল রয়েছে, ৪০টি বাগানে বাগান কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কোনো স্কুল নেই এবং ৬টি বাগানে কোনো স্কুলই নেই। শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেক বাগানে হাসপাতাল বা ডিসপেনসারি প্রতিষ্ঠা করার নিয়ম থাকলেও জরিপকৃত ৬৪টি বাগানের মধ্যে ১১টি বাগানে চিকিৎসা কেন্দ্র বা ডিসপেন্সারি নাই। বিধিমালায় অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ দুই ধরনের চিকিৎসা সেবা থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও ৪১টি বাগানের চিকিৎসা কেন্দ্রে অন্তর্বিভাগীয় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা নাই।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “চা শিল্প খাতে সরকার, মালিক সংগঠন ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের নানা উদ্যোগে মজুরীসহ অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রাপ্ত সবধরণের সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় নিয়েও দেখা যায়, বাংলাদেশে অন্য যে কোন খাতের তুলনায় এখনো চা শ্রমিকদের মজুরি সর্বনি¤œ। তারা তাদের ন্যায্য মৌলিক অধিকারগুলোও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছেন না। আইনী দুর্বলতায় তারা বৈষম্যের শিকার, আবার আইনগতভাবে প্রাপ্ত ন্যায্য অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত। 

টিআইবি’র পক্ষ থেকে চা বাগানের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য পেশ করা ৮ দফা সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সরকার, বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একটি যৌক্তিক, ন্যায্য এবং অন্যান্য খাতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা এবং প্রতি দুই বছর পর পর তা বাজার দর অনুযায়ী হালনাগাদ করা; বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকার থেকে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ ও পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ করে সার্বজনীন শিক্ষার সরকারি নীতি অনুযায়ী চা শ্রমিকের সন্তানের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা; শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্থাপিত হাসপাতালের অবকাঠামোর পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতসহ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা; বাগান পরিচালিত বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনা; শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, মজুরি, নিয়োগ পত্র প্রদান, সার্ভিস বুক সংরক্ষণ, গ্রুপ বীমা, গ্রাচুইটি, কল্যাণ তহবিল, শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, খাবার পানি ও শিশু সদনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে শ্রম আইন, শ্রম বিধিমালা ও সমঝোতা চুক্তির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা; উত্তোলনকৃত পাতার ওজন কম দেখানো বন্ধ করতে উভয়মুখী প্রদর্শণী ব্যবস্থাসহ ডিজিটাল মেশিন ব্যবহার নিশ্চিত করা ইত্যাদি। 

উল্লেখ্য, আগস্ট ২০১৭ থেকে মে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে গবেষণাটির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করে মোট ৬৪টি বাগান (৪১টি মূল বাগান ও ২৩টি ফাঁড়ি বাগান) থেকে ১৯১১ জন স্থায়ী শ্রমিকের কাছ থেকে গবেষণাটির জন্য প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ তথ্যের জন্য চা শ্রমিক, টিল্লা বাবু, চৌকিদার, ফান্ড বাবু, চা শ্রমিক সরদার, চা বাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা ডাক্তার, চা বাগানের ম্যানেজার, মালিক, চা শ্রমিকদের ইউনিয়ন, প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসের প্রাক্তন ও বর্তমান ট্রাস্টি ও কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক (শ্রম) কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, চা বোর্ড, চা সংসদ, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট গবেষকদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট আইন, প্রাসঙ্গিক গবেষণা প্রতিবেদন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত নথি, সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ডকুমেন্টারি ও ওয়েবসাইট ইত্যাদি উৎস থেকে পরোক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া গবেষণাটির বিভিন্ন পর্যায়ে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ এবং চা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করা হয় এবং গবেষণার খসড়া ফলাফল উভয় পক্ষের সাথে শেয়ার করে তাদের প্রদত্ত মতামতের আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ