শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মুঠোফোন কোনটা চলল কেমন?

মাহফুজ রহমান: এ বছরের শেষ হতে আর মাত্র ৭ দিন বাকী। ২০১৯ সালে প্রযুক্তি দুনিয়ায় আসছে নতুন সব চমক। ২০১৮ সালও কম যায়নি। স্মার্টফোনের বাজারেও দেখা গেছে এর বেশ কিছু নমুনা। বিশেষ করে আইফোন টেনের ফুল ভিউ ডিসপ্লে ছিল বড় সংযোজন। ক্লাসের ভালো ছাত্রদের সবাই অনুসরণ বা অনুকরণ করতে চায়। স্মার্টফোনের ক্লাসে নিঃসন্দেহে মেধাবী ছাত্র অ্যাপলের আইফোন। স্বাভাবিকভাবেই অন্য ব্র্যান্ডগুলো আইফোনের অনুসারী হয়েছে। পুরো পর্দার প্রযুক্তি খাটিয়েছে প্রায় অধিকাংশ ব্র্যান্ড। পুরোটাই ডিসপ্লে হওয়ায় যুক্ত হয়েছে ফেসলক প্রযুক্তি (চেহারা শনাক্ত করে ফোন বন্ধ করা বা খোলা যায়)। ক্যামেরার ঝকমারিও কম ছিল না। প্রতিদিন অন্তত একটি ছবি বা সেলফি তোলে না এমন তরুণ আজকাল বিরল। ফলে ফোন নির্মাতারা ক্যামেরার ওপরই রেখেছিল সতর্ক দৃষ্টি। এ ক্ষেত্রেও আইফোন পথের দিশারি। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এ-৭ ও কম যায়নি। আর হুয়াওয়ে তো তিনটি ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে বাজারে ছেড়েছে পি-২০ প্রো ফোন। এ ছাড়া ব্যাটারির ক্ষেত্রেও নজর ছিল কমবেশি সবার। আগে অপো মনোযোগী ছিল ক্যামেরায়, এখন তাদের ব্র্যান্ডিংয়ে বলা হচ্ছে-‘৫ মিনিট চার্জে ২ ঘণ্টা কথা’।
দেশের বাজারে সেরা: সারা বছর দেশের বাজারে কোন ব্র্যান্ডের ফোন সবচেয়ে বেশি বিক্রি করলেন? এই প্রশ্ন নিয়ে আমরা গিয়েছিলাম ঢাকার তিনটি বড় মোবাইল ফোনের বাজার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, ইস্টার্ন প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স এবং মোতালেব প্লাজায়। সুনির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের বাইরে খুচরা বিক্রেতাদের মতামতে স্মার্টফোনের বিক্রির তালিকাটি এ রকম-স্যামসাং, সিম্ফনি, হুয়াওয়ে, শাওমি, ভিভো ও অপো। আর ফিচার বা বার ফোনের বেলায় এখনো ক্রেতাদের আস্থা নকিয়ার ওপরেই। ২০১৭ সালে ৩৩১০ মডেলটি বাজারে আনার পর বিক্রির ধুমই পড়ে গিয়েছিল। এ বছরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থেকেছে। পাশাপাশি সিম্ফনি, ওয়ালটন এবং আইটেলও ভালো চলেছে। স্মার্টফোনে স্যামসাং এগিয়ে আছে মূলত আস্থার কারণে। তবে এর ঘাড়ের ওপর তপ্ত নিশ্বাস ফেলছে হুয়াওয়ে। ব্যাটারি, ক্যামেরা এবং ওয়ারেন্টির কারণে চীনা এই ব্র্যান্ডটি এগিয়ে যাচ্ছে তরতর করে। শাওমিও মন জয় করে নিচ্ছে প্রায় একই রকম সুবিধা দিয়ে। তুলনামূলক কম দাম ও বেশি সুবিধা দিয়ে অপো আর ভিভোও বাজারে জনপ্রিয়।
কোন ব্র্যান্ডের কোন মডেলটি জনপ্রিয়
আইফোন: বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার দোকানের জ্যেষ্ঠ বিক্রয় নির্বাহী নাজমুল অভি বললেন, ‘এ বছর আইফোনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছি সিস্কমডেলটি। এরপর আইফোন সেভেনও ভালো চলেছে। আর যাঁরা একটু বেশি দামি কিনতে চেয়েছেন, তাঁদের জন্য তো আইফোন টেন ছিলই।’ অন্য দোকানেও একই চিত্র। বিশ্ববাজারে আইফোন সিক্স ও সেভেন এখন বিগতযৌবনা। ফলে দেশের বাজারে এই মডেল দুটির দামও কমে গেছে। বেশি বিক্রির কারণও এটাই।
স্যামসাং: সব মিলিয়ে জে৬ এবং জে-৪, এই মডেল দুটিই বেশি বিক্রি হয়েছে। দামিগুলোর মধ্যে নোট ৯, এ৬ প্লাস ছিল হটকেক।
সিম্ফনি: দেশি এই ব্র্যান্ডের বেশি দামি সেটের মধ্যে বেশি বিক্রির তালিকায় আছে আই ১২০, পি১১ এবং আই ৭৫ মডেল তিনটি। একটু কম দামের মধ্যে সেরা হলো বি৭৫, বি৯৮ এবং হ৬০।
হুয়াওয়ে: বেশি দামির মধ্যে নোভা ৩ আই, মেট ২০ প্রো ছিল চাহিদার শীর্ষে। হাতের নাগালে থাকা মডেলগুলোর মধ্যে ওয়াই ৫ লাইট এবং ওয়াই ৫ প্রাইম চলেছে বেশি।
শাওমি: নোট ৫ চলেছে সবচেয়ে বেশি। এরপর রেডমি ৫,৫ প্লাস পেয়েছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা। এ ছাড়া নোট ৫ এআই, এ২, এ২ লাইট এবং রেডমি এস-২ ও বেশ বিক্রি হয়েছে।
ভিভো: চীনের এই ফোনটির ব্র্যান্ডিং দেখা গেছে ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বড় আসরেও। বলিউড অভিনেতা আমির খান এর ব্র্যান্ড দূত। কাজে দিয়েছে এই ব্র্যান্ডিং। কম দামের মধ্যে ওয়াই ৭১ এবং বেশি দামের মধ্যে ভি১১ প্রো চলেছে সবচেয়ে বেশি।
অপো: এফ ৫, এফ ৭ এবং এফ-৯ তিনটি মডেলই ভালো চলেছে। তবে সর্বশেষ সংযোজন এফ-৯-ই বেশি বিক্রি হয়েছে। কম দামের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে এ-৩ এস মডেলটি। -প্রথম আলোর সৌজন্যে

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ