বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইরি-বোরো চাষাবাদের বীজ তলা তৈরীতে ব্যস্ত শাহজাদপুরের কৃষকরা

এম,এ, জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ), ১৯ ডিসেম্বর: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আধুনিকতার এ যুগেও প্রয়োজনের তাগিদেই অনেকেই গরু দিয়ে হাল চাষ করে এই বীজতলার জমি প্রস্তুত করছেন।
শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে বেড়েছে কৃষকদের ব্যস্ততা। আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে নেমে পড়েছেন কৃষকরা।
শাহজাদপুর উপজেলা সদর বাজারসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে হরেক রকম হাইব্রীড জাতের বোরো ধান বীজ বিক্রি হচ্ছে। আর এসব হাইব্রীড ধান বীজ নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য।
বীজ ডিলারসহ সার ও কীটনাশক ডিলারের দোকানে বাহারি নামের বিভিন্ন কোম্পানির নিম্নমানের হাইব্রীড ধান বীজ বিক্রয় হচ্ছে। যে কারণে দোকানগুলিতে বেড়েছে কৃষকদের বিভিন্ন উন্নত ফলনশীল জাতের বোরো ধান বীজ কেনার হিড়িক। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক বোরো ধানের প্রায় ২৭টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এগুলির মধ্য থেকে বর্তমানে কৃষকরা যে ধানবীজ থেকে ভাল ফলন ও যে বীজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সেগুলি প্রহণ করছেন বলে জানা যায়। ইরি-বোরো ধান চাষ করে একদিকে নিজেদের পারিবারিক চাউলের চাহিদা মেটানোর পাশপাশি বাজারে বিক্রি করেও আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন। এ লক্ষ্যে আগাম বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। চাষীরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরিতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। কৃষকরা বলছেন, আগাম বীজতলা প্রস্তুত শেষ তাই জানুয়ারিতেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শেষ হবে। ফসল পাওয়া যাবে এপ্রিলে। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই যেন বোরো ধান কেটে বাড়িতে তোলা যায় এজন্য অধিকাংশ কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, গত বছর উপজেলায় ২৩ হাজার ৪ শ ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এ বছর ২৩ হাজার ৩ শ ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমারা আশা করছি আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ