শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রাজশাহীর ছাত্রনেতা সানি হত্যায় ছাত্রলীগের দুই নেতার মৃত্যুদণ্ড বহাল

রাজশাহী অফিস : রাজশাহী মহানগরীর চাঞ্চল্যকর ছাত্রমৈত্রী নেতা রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গত ৮ জানুয়ারি এই আদেশ দেন আদালত। এ সংক্রান্ত আদেশ রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এসেছে বলে নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের পিপি এন্তাজুল হক বাবু। তিনি জানান, এ মামলায় ১০ বছর সশ্রম কারাদ- প্রাপ্ত আসামি আবদুল মতিনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই আসামী হলেন, রাজশাহী পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদ্দাম হোসেন ওরফে তুষার। মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও উভয়কে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ- করা হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, অহেদুজ্জামান ওরফে বাবু, মেজবাউর রহিম ওরফে সুমন, জাহিদুল ইসলাম ওরফে মানিক এবং কৌশিকুর রহমান ওরফে অনিক। এছাড়াও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অর্থ অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এ আদেশও হাইকোর্ট বহাল রয়েছে। তবে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামি মখলেছুর রহমান ওরফে রোকনের সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ মে প্রদত্ত রায়ে রাজশাহী পলিটেনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি হত্যা মামলার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়াও এই মামলার অপর ৫ আসমিকে যাবজ্জীবন এবং ৩ জনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদ-সহ সকল আসামিকে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়। রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একরামুল হক চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারী রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা সানির ওপর হামলা চালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় সানিকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে সানির পিতা মনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ১০ জনকে আসামী করে মামলা করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ