আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার স্বাস্থ্যকর্মীরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন
খুলনা অফিস : আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্টের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রায় এক বছর যাবৎ বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রজেক্টের আড়াই শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মীর ১০ মাসের বেতন ও তিনটি বোনাস বকেয়া রয়েছে। এই প্রকল্পের কর্মীরা কষ্ট করে রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে। বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের তালিকা তৈরি করে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও নগর মাতৃসদনের মাধ্যমে সকল মায়ের দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেবাদানকারী এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে নিরাপদ ডেলিভারি নিশ্চিত করে আসছে। এই প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার পরও নতুন করে চতুর্থ ধাপের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবারও তৃতীয় ধাপের সময়সীমা বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১৮ মাস বৃদ্ধি করা হয়। বিগত ১০ মাসের বেতন, ৩টি বোনাস ও মার্চ-২০১৮ এর ৪০% বেতন পাওনাদি রয়েছে। দীর্ঘদিন এই বেতন বোনাস না পাওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমতাবস্থায় তারা সবাই নিয়োগকৃত এনজিও কেএমএসএস-এর কাছে তাদের বকেয়া বেতনের কথা জানায়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কেএমএসএস বেতন ভাতাদি দেয়ার কথা বলে আসলেও আজও পর্যন্ত তারা তা পায়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার পরিচালনা করেত হিমশিম খাচ্ছে। অবিলম্বে তাদের পাওনাদী পরিশোধের জোর দাবি জানানো হয়।
এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছে। এ সময় মেয়র তাদের আশ্বস্ত করায় তারা আপাতত আন্দোলন স্থাগিত করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শামিম শেখ, জিয়াউর রহমান, উত্তম কুমার, আ. সাত্তার, ওহেদুজ্জামান, হামিম, লিটন, ফারুক প্রমুখ। তবে সাধারণ কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, এনজিওর সাথে সখ্য গড়ে তোলে প্রকল্পের সুপারভাইজাররা। তাদের কারণে এতদিন আন্দোলনে নামতে পারেনি এসব কর্মীরা। এ সময় মেয়র সুপারভাইজারদের বকাঝকা করেন বলে আন্দোলনকারীরা জানায়।