মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কেওঢালা-অলিপুরা সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট দুর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় ও মদনপুর দুইটি ইউনিয়ন এলাকায়  গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা । এসব ইটভাটা ঘেষে বয়ে গেছে কেওঢালা-অলিপুরা গ্রামীন অবকাঠামো রাস্তা। এ রাস্তাটি সোনারগাঁ ও বন্দর দুই  উপজেলা জনসাধাণের চলাচলের একমাত্র পথ। এই পথ দিয়ে ইটভাটার মালামাল আনা নেয়ায় মাটিবাহী  ট্রাক,  ট্রাক্টর ও ইছারমাথা চলাচলে  প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।  যানজটে আটকা পড়ে চরম  দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কর্মজীবি মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।  গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপরিল্পিত ভাবে মাটিবাহী ট্রাক ও ইছারমাথা চলাচলে দীর্ঘ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। টানা ৫ ঘন্টা যানজটের পর দুপুর ১২ টার দিকে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের হস্তক্ষেপে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনে। 
ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, সোনারগাঁও উপজেলার বারদী, সনমান্দি দুইটি ইউনিয়ন  ও বন্দর উপজেলার ধামগড়, মদনপুর দুইটি ইউনিয়ন। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী  জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র পথ কেওঢালা-অলিপুরা ভায়া বারদী সড়ক।  বন্দর উপজেলার ধামগড় ও মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা, শ্রীরামপুর, বাঁগদোবাড়িয়া, কাজিপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে গ্রামীণ অবকাঠামো গ্রামীণ সড়কটি। এ সড়কের কোলঘেষে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা। গঠে উঠা ইটভাটার মালামাল লোডআনলোডে চলাচল করছে প্রায় দুই শতাধীক ছোট বড়  ট্রাক ও ইছারমাথাসহ অন্যান্য যানবাহন।
 জনসাধারণ চলাচলের এক মাত্র পথ দিয়ে অপরিল্পিত ভাবে ইটভাটার যানবাহন চলাচলে  নিত্যদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে   স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও  কর্মজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌছাতে পারছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।  ইটভাটার অপরিল্পত যানবাহন চলাচলে কারণে  গতাকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে শ্রীরামপুর ছোট  ব্রিজের সামনে দুই মাটিবাহী ইছারমাথা ও একটি ট্রাক ফেসে গিয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে কর্মীজীবি গার্মেন্ট শ্রমিকসহ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা  আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন। এসময় তীব্র যানজটের আটকা পড়ে কয়েকশত জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এক ঘন্টা চেষ্টার পর যানজট নিয়ন্ত্রনে আনেন।বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিন্টু ব্যাপারী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জনসাধারণের বিঘ্ন ঘটিয়ে ইটভাটার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তবে এ বিষয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ