শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঝালকাঠি বিএডিসি থেকে বীজ কিনে প্রতারিত কৃষক

ঝালকাঠি সংবাদদাতা : সরকারী বীজের মান ভালো হয়, তাতে চারাও গজায় বেশি এটা শুনে ঝালকাঠি বিএডিসি (বীজ বিপণন ও বিতরণ) অফিসে বোরো বীজ আনতে (নিতে) যাই। সেখানে গেলে অফিসের লোকজন কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে, আমার কথা না শুনে ভালো বীজ আছে বলে ফরিদপুর থেকে আনা ১০ কেজির ১২টি প্যাকেট ৬হাজার টাকা দাম রাখে। পরের দিন দেয়া হবে জানিয়ে আসতে বলেন। আমিও পরের দিন ভ্যান গাড়ি নিয়ে ১২ টি প্যাকেট নিয়ে আসি। বীজতলায় আবাদ করার পর দেখি ৬ প্যাকেট বীজও ফোটায়নি (অঙ্কুরোদগম করেনি)। পরে অন্য বীজ তলা থেকে উচ্চ দামে বীজ কিনে এনে রোপন করতে হচ্ছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে গেছে। বাকি খরচের দিনতো আরো সামনে আছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সদর উপজেলার সাবাঙ্গল এলাকার কৃষক মোঃ আলমগীর হোসেন। শুধু আলমগীরই নন এভাবে আরো অনেক কৃষক আছেন যারা বোরো বীজসহ বিভিন্ন বীজ ক্রয় করে কাঙ্খিত ফলন না পেয়ে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ঝালকাঠি বিপনন ও বিতরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ফরিদপুর থেকে সরবরাহকৃত প্রত্যয়িত মানবীজ প্রতি কেজি ৫০ টাকা করে ১০ কেজি ৫শ টাকা দর রাখা হয়েছে। বিতরণের পর ১৫ জনে আপত্তি দিছিলো তাদের বীজের অঙ্কুরোদগম ভালো হয়নি। তারা খালি প্যাকেট জমা দিয়ে আবার নতুন করে ভালো মানের বীজ নিয়ে গেছে। তারা পরে আর কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। এখন যদি কেউ অভিযোগ করেন তাহলে আর কিছু করার নেই। আমাদের ভর্তুকি দেয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিএডিসি ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পরিচালক শারমিন জাহান বলেন, ফরিদপুর থেকে যে প্রত্যয়িত ধানবীজ আনা হয়েছিলো, সেই বীজের কয়েকটা প্যাকেটের মান খারাপ ছিলো। তাই অনেকের অঙ্কুরোদগম ভালো হয়নি। যারা বীজ অঙ্কুরোদগমের সাথে সাথে আমাদের কাছে এসে অভিযোগ দিয়েছে আমরা তাঁদের ভর্তুকি দিয়েছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ