শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

গরমের শুরুতেই দাকোপের সুতারখালীতে খাবার পানির তীব্র সংকট

দাকোপের দুতারখালী ইউনিয়নে গরমের শুরুতেই থাওয়ার পানির তীব্র সঙ্কটে নিরুপায় গয়ে মানুষ অনিরাপদ পুকুরের পানি পান করছেন

খুলনা অফিস : গরমের শুরুতেই খুলনার দাকোপের আইলা কবলিত সুতারখালী ইউনিয়নে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আইলা পরবর্তী সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় চাহিদার ২০ ভাগ ও পুরন হয়নি। ফলে ড্রাম প্রতি ২৫-৩০ টাকা দরে পানি কিনে জীবন ধারন করছেন এলাকাবাসী।

খুলনার উপকুলিয় উপজেলা দাকোপের সুন্দরবন লাগোয়া সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন সুতারখালীতে সুপেয় পানির সংকট একটি স্থায়ী সমস্যা। চারীপাশে লবণ পানি নদী বেষ্টিত ইউনিয়নটির প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ মওসুমের বৃষ্টির পানিতে বছরের তিন মাস জীবন ধারন করে। এ অঞ্চলে টিউবওয়েল সফল না হওয়ায় বাকী সময়টা খাওয়ার পানির তীব্র সংকটের মধ্যে জীবন কাটাতে হয় সেখানকার নাগরিকদের। বর্তমানে শুরু হতে যাচ্ছে খরতাপের মওসুম। অন্যান্য বারের ন্যায় এবার ও এ মওসুমে খাবার পানির সংকট প্রকট আকার ধারনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সুপেয় পানি সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এ পর্যন্ত চাহিদার ২০ ভাগের মত পুরণ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ট্যাংকি, রেইন ওয়ার্টার হার্ভেষ্টিং, ও পিএসএফ। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে একমাত্র পানি সংরক্ষনের ট্যাংকি বাদে বাকী সব ধরনের ব্যবস্থা অল্প সময়ের ব্যবধানে অকেজো হয়ে যায়। এ ছাড়া রক্ষনাবেক্ষন ও গণব্যবহার জনিত ত্রুটির কারণে সে গুলোর সফলতা স্বল্প স্থায়ী। সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায়, অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল পরিবার গুলি খুলনা, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নদী পথে ড্রাম প্রতি ২৫-৩০ টাকা দরে পানি কিনে জীবন ধারন করছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষের যেন দূর্ভোগের সীমা নেই। যে কারণে নিরূপায় হয়ে ইউনিয়নের  একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠী অস্বাস্থ্যকর পান অযোগ্য পানি খেয়ে জীবন ধারণ করতে বাধ্য হচ্ছে। এমনই সংকটের মধ্যে ইউনিয়নের প্রান কেন্দ্র নলিয়ানে বিগত ২০১৬ সালে হীড বাংলাদেশের উদ্যোগে সুপেয় পানির প্লান্ট স্থাপিত হয়। ওই প্লান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার লিটার পানি সদস্যদের মাঝে নামমাত্র মুল্যে এবং জনসাধারনের মাঝে অপেক্ষাকৃত কম মুল্যে সরবরাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে পাম্পটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে পানি সরবরাহ বন্দ আছে। 

এ ব্যাপারে হীড বাংলাদেশ খুলনাঞ্চলের এলাকা ব্যবস্থাপক পার্থ রায় চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনসাধারনের দূর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পাম্পটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আশা করছি ২/১ দিনের পাম্পটি পূর্নস্থাপন সম্ভব হবে। বৃহৎ এ জনগোষ্টির পানি সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত পানির ট্যাংকি বিতরনসহ কার্যক্রর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ