শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : দলের নেতাদের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দানবের রাজত্বে মানববন্ধন বেমানান। এর থেকে যাত্রা শুরু করা যায় কিন্তু চূড়ান্ত ফল আশা করা উচিত নয়। আপনারা প্রত্যাশা করতে পারেন। কিন্তু কোন প্রত্যাশ্যায় বাস্তবায়িত হয় না প্রচেষ্টা ছাড়া। কিছু করতে গেলে কিছু ক্ষতি হবে এ কথাটা মেনে পথ চলতে হবে। আমি নিরাপদে থাকবো, আমি চলে যাবো না, আমি মামলা খাবো না, আমার সম্পদ রক্ষা করতে হবে, এই ভয় যদি আপনাদের মাঝে কাজ করে, তাহলে আমাদের নেত্রী কারাগারে থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকালে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল।
 বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কৃষকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মাদ জসিম, নাজিম উদ্দীন মাষ্টার, সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, মিয়া মো: আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম,আব্দুর রাজি প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, আপনি একটি রাজনৈতিক দল করেন, যে দলটি বার বার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেছে। তার বিপরিতে যে দলটি আছে তার চরিত্র কি? ভাষা কি, ইচ্ছে কি, রাজ পথে থেকে এটা বুঝা দরকার। সেটা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে যে দুর্গতিতে থাকার কথা সেটাই আসছে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন হবে না, শেখ হাসিনাকে রেখে নির্বাচন হবে না, কোনোটাই কার্য্যকর করলেন না।
খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না, হাসিনাকে রেখে নির্বাচন হবে না। দুটি শব্দের একটি ও কার্যকর করলেন না। হাসিনাকেউ রাখবেন খালেদা জিয়াকে জেলখানা থেকে মুক্ত না করে নির্বাচনে গেলেন। সেই নির্বাচনে কেউ থাকলো জেলে, কেউ হাসপাতালে, কেউ বাড়িতে লুকিয়ে রইলেন মাঠেও নামলেন না। পারবেন না যখন, দানবের সাথে লড়াই করতে যান কেনো?
প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার সমালোচনা করে বলেছেন, খালেদা জিয়া জেলখানায় আছে এটা তার (প্রধানমন্ত্রীর) স্বস্তি নয়, জেলখানায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ যতক্ষণ পর্যন্ত না শুনবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি বিচলিত থাকবেন।
খালেদা জিয়াকে সরকার ছাড়ার জন্য কারাগারে নেয়নি। সরকার তাকে শুধু কারাগারে রেখেই সন্তুষ্ট নয়, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কোনো কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। সে তার অতৃপ্ত বাসনা নিয়েই রাজত্ব চালাবে, যতই পান ততই চান। মানুষের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা তাকে পুলকিত করে, আনন্দিত করে। মানুষের জন্য তিনি কিছু করে আনন্দ লাভ করতে পারেন না। এরকম একটা বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের কবলে সারা দেশ।
যে দানবের কাছে থেকে আপনার অধিকার আদায় করতে পারবেন না, সেই দানবকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রেখে মানবিকতা কায়েম করবেন সেটা হতে পারে না। তিনি বলেন, রাজনীতিতে পা-িত্য থেকে মানুষের বেশী প্রয়োজন মানুষের মনোভাব বোঝা। মানুষের মনোভাব বুঝতে পারে না তারা রাজনীতিতে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না। জনগণ কেউ কিছু দিতে পারে না। আপনারা মুখে যা বলবেন কাজে তা করতে হবে। কারো কাছে চাওয়া নয় দাবি আদায় করুন। আপনি আপনার শক্তি আপনার সমর্থন দিয়ে। আপনারা যদি নেতৃত্ব দিতে পারেন জনগণ আপনাদের নেতৃত্বে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত আছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ