মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ব্রেক্সিট: চুক্তি অনুমোদনে মরিয়া চেষ্টা মের

২৯ মার্চ, বিবিসি: পদত্যাগের প্রস্তাবে রাজি হয়েও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদের রূপরেখা নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটাতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এবার আংশিক চুক্তিতে এমপিদের অনুমোদ পেতে চাইছেন।

ব্রেক্সিট নিয়ে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে আবারও ভোট হতে যাচ্ছে। তবে এবার মে’র সংশোধিত ব্রেক্সিট চুক্তির ‘সম্পূর্ণ প্যাকেজের’ উপর নয় বরং এদিন শুধু আইরিশ ব্যাকস্টপ, ডিভোর্স বিল (সম্পর্কোচ্ছেদের পর যুক্তরাজ্যকে কত অর্থ দিতে হবে) ও নাগরিক অধিকার অংশের উপর ভোট হবে।

সেক্ষেত্রে যদি ভোটে মে জিতে যান তাহলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক অনির্ধারিতই থেকে যাবে।

দুই বছর আগে যুক্তরাজ্য সরকার যখন ‘আর্টিকেল ফিফটি’ কার্যকর করে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল তখন বলা হয়েছিল, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানবে।

সে অনুযায়ী শুক্রবারই দেশটির ইইউ ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। অথচ এখন পর্যন্ত তারা কোন প্রক্রিয়ায় ব্রেক্সিট হবে তাই ঠিক করে পারেনি।

ঐতিহাসিক গণভোটে ২০১৬ সালের ২৩ জুন বিচ্ছেদের পক্ষে রায় আসার পর ইইউতে থেকে যাওয়ার প্রচার চালানো তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন; দায়িত্ব নেন টেরিজা মে।

লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটি কার্যকরের পর গত দুই বছরে মে সম্পর্কোচ্ছেদের একটি চুক্তিতে উপনীত হতে নানা ভাবে চেষ্টা করেছেন।

কিন্তু তার সে চেষ্টায় নিজদল কনজারভেটিভ পার্টির এমপির সমর্থনই তিনি পাননি।

এ বছর দুইবার খসড়া বেক্সিট চুক্তিতে পার্লামেন্টের অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু দুইবারই তার চুক্তি বিপুল ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়।

নিরুপায় মে ইইউ নেতাদের কাছে সম্পর্কোচ্ছেদের সময় বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইইউ দুই সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে দেয়।

গত বুধবারের হাউজ অব কমন্সে ব্রেক্সিটের আটটি বিকল্প প্রস্তাবের উপর ভোট হয়; যার একটিতেও সম্মত হতে পারেননি এমপিরা। শুক্রবারের ভোটে যদি মে’র চুক্তিতে এমপিরা অনুমোদন দেন তবে ভবিষ্যৎ পথরেখা ঠিক করতে আগামী ২২ মে পর্যন্ত সময় পাবেন তিনি।

আর যদি এদিনও মে ব্যর্থ হন তবে আগামী ১২ এপ্রিল সময় শেষ হবে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের নেতা আন্দ্রেয়া লিডসম বলেন, “যদি যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিটের জন্য আগামী ২২ মে পর্যন্ত সময় পেতে চায় তবে এটা (শুক্রবারের ভোট) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

“আমার মনে হয়, আমরা কেউই আবারো সময় বৃদ্ধির অনুরোধ করার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে দিতে চাই না। সামনেই ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচন। ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছাও নিশ্চয়ই কারো নেই।”

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ