সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবানা খাতুন (২৭) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার পর থেকে তার স্বামী রিপন হোসেন পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূ যশোরের শংকরপুরের সামটা গ্রামের ইসমাইল গাজীর মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে-শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামে। খবর পেয়ে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন। এদিকে নিহতের ভাই আবুল কাশেম জানান-তার বোন সাবিনা খাতুনের সহিত কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে রিপন হোসেনের সাথে ১০/১২ বছর পূর্বে ইসলামিক সরিয়াত মোতাবেক বিয়ে হয়। এর পরে তারে কোটে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু প্রায় সময় স্বামী রিপন যৌতুক দাবী করে তার বোনকে মারপিট করে আসছে। গত ১৫দিন পূর্বে তার বোনকে যৌতুকের দাবীতে বেধড়ক মারপিট করে নিলা ফোলা জখম করে। শুক্রবার রাতে কোন কারণ ছাড়াই তার বোনকে বাশের লাঠি ও গলা চেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে তার বোনকে উদ্ধার করে স্থানীয় গয়ড়া ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তারা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পরামশ্য দেন। ওই রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মৃত্যু বরণ করে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন-নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
মায়ের মুত্যু
এদিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় রশিতে ঝুলে মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রহিমা খাতুন (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গাজনা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আল মাসুদ জানান- গাজনা গ্রামের মতিয়ার সরদারের মেয়ে মুসলিমা খাতুনের (২৮) সঙ্গে পারিবারিক ভাবে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েলের মাথে বিয়ে হয়। রাতে ঘরের আড়ায় রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুসলিমা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করেছে স্থানীয়রা। এদিকে-মেয়ে মুসলিমার অপঘাতে মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন মা রহিমা খাতুন। পরে তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। শুক্রবার সকালে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মনিরুজ্জামান জানান-মুসলিমার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।