বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চুয়াডাঙ্গায় সন্তানের দায় অস্বীকার করায় ডিএনএর পর যুবকের যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক স¤পর্ক করে জন্ম নেয়া সন্তানের দায় নিতে অস্বীকার করায় হাশেম আলী নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গত রবিবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হাশেম আলী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে।
জানাগেছে- গত ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এই মর্মে মামলা দায়ের হয় যে, আসামী হাশেম আলী একই গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শারীরিক স¤পর্কে লিপ্ত হয়। এরপর ওই মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। হাশেম আলীকে বিয়ের কথা বললে সে তা অস্বীকার করে। বিষয়টি আদালতে অভিযোগ করলে তদন্তের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরজাহান খানমকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
নূরজাহান খানমসহ চার সদস্যের একটি কমিটি ওই ঘটনার তদন্ত করে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য আদালতে মত প্রকাশ করেন। আদালত সেই মোতাবেক প্রমাণ করা যায় এমন উপাত্ত দামুড়হুদা মডেল থানার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর আদেশ দেয়। আদেশ মোতাবেক দামুড়হুদা মডেল থানা কর্তৃপক্ষ ঢাকা সিআইডি দপ্তরে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য উপাত্তগুলো পাঠায়। সেখান পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরই মধ্যে ভুক্তভোগী ওই মেয়ে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ১৩৫/১৫ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার গতকাল রবিবার রায় ঘোষণা করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ