ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব -আতিকুর রহমান
শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের হাড়ভাঙ্গা শ্রমে শিল্প-কারখানা ও সুউচ্চ অট্টালিকা গড়ে উঠলেও শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি শোষণ-বঞ্চনা এবং নির্মম দুঃখ-দুর্দশার শিকার। আর এই শোষণ-বঞ্চনা থেকে শ্রমিকরা আজো মুক্তি পায়নি, শুধু মাত্র একটি ইনসাফপূর্ণ শ্রমনীতি ও সৎ নেতৃত্ব না থাকায়। আর এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি আদর্শিক পরিবর্তন। তাই ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি পরিহার করে দেশ ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। দেশ ও শ্রমজীবী মানুষের কল্যানে আদর্শিক ঐক্য গড়ে তুলতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীলদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে।
গত রোববার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট বিভাগের আয়োজনে লিডারশীপ ট্রেনিং এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান এ কথা বলেন। সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে, বিভাগীয় সেক্রেটারী মাওলানা ফারুক আহমেদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সিলেট মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফেজ আব্দুল হাই হারুন। উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ,সহ সিলেট বিভাগের জেলা সভাপতি ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
আতিকুর রহমান আরো বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি শ্রমিকদের যে মর্যাদা দিয়েছে,অধিকারের কথা বলেছে পৃথীবির কোন মতবাদ শ্রমিকদের সেই মর্যাদা দেয়নি। সমাজতান্ত্রিক আদর্শে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যে শ্রেণী সংগ্রাম চালিয়েছে মূলত সেই সংগ্রাম শ্রমিকদের কল্যানে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি।বাস্তবে সমাজে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন শ্রমিক সমাজের জন্য,তাদের জীবন মানের পরিবর্তনে ও কল্যান সাধনে সঠিক কোন ভূমিকা পালন করেনি,বরঞ্চ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শ্রমজীবী মানুষ অনেক বেশি লাঞ্ছনা,নির্যাতিত, নিগৃহীত, হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজ এই নির্যাতিত,নিপিড়িত, নিগ্রিহিত,নিস্পিসিত,পথ হারা শ্রমিকদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রমজীবী মানুষের সত্যিকার মুক্তি ও কল্যান সাধনে ইসলামী শ্রমনীতির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ইসলামী শ্রমনীতির বাস্তবায়নে ট্রেড ইউনিয়ন বৃদ্ধির মাধ্যেমে শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা এখন সময়ের দাবী। মনে রাখতে হবে, আমদের সংগ্রাম শ্রমজীবি মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ সাধনের সংগ্রাম। অতএব শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিজের যোগ্যতা, মেধা ও দক্ষতার মাধ্যেমে শ্রমজীবী মানুষের এই মুক্তির আন্দোলনে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।