ঢাকা, শুক্রবার 19 April 2024, ০৬ বৈশাখ ১৪৩০, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৩৬,৭৪৬টি পদ শূন্য: প্রতিমন্ত্রী

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৩৬,৭৪৬টি শূন্য পদ পূরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সম্প্রতি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি।

শূন্যপদ কবে পূরণ হবে জানতে চাইলে ফরহাদ বলেন, ‘শূন্য পদ পূরণের জন্য আমাদের কাছে মন্ত্রণালয়ের আবেদন আসলে আমরা সাথে সাথে সেগুলো অনুমোদন করে দেব। আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শূন্য পদ পূরণ করতে পারবো।’

জনপ্রশাসনে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘নিম্ন আয়ের অবস্থা থেকে দেশকে মধ্যম আয়ের দিকে উন্নীত করতে আমরা প্রশাসনে গতিশীল আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দেশ ও প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে সকল শূন্য পদ পূরণের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করবো।’

জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে অনেক সময় হয়রানি করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলার জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। জনগণকে খুব দ্রুত সেবা দিতে আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত পাঁচ বছর আমি যখন সংসদ সদস্য ছিলাম, তখন আমি নিজেই দেখেছি ও অনুভব করেছি যে আসলে অনেক সাধারণ মানুষ অফিসে যেতে চান না। গেলেও হয়তো প্রাপ্য সম্মানটুকু তারা পায় না। অথচ জনপ্রতিনিধিদের কাছে মানুষ খুব সহজে আসতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। আমাদের প্রশাসনকে জনমুখী ও কল্যাণমুখী করতে হবে।

দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১০ বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সেই নীতি মেনেই কাজ করছি।

তিনি স্মরণ করেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘যারা সেবা নিতে আসে তারা আমাদের ভাই বোন, আমাদের আত্মীয় স্বজন, তাদেরকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে হবে।’

‘আমরা ব্যাপকভাবে এ লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। আশা করছি জনসেবার মান বাড়াতে পারবো,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

জনপ্রশাসনকে অত্যন্ত জনবান্ধব গড়ে তোলা হবে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আগামী দিনে জনপ্রশাসনের প্রকৃতি হবে অত্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের। অতি সাধারণ মানুষের জন্য তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। হাসিমুখে তারা তাদের কর্মকর্তাদেরকে গ্রহণ করতে পারবে। এজন্য কর্মকর্তাদেরকে কর্মদক্ষ করে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলা হবে। আমরা এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, মাঠ প্রশাসনে অতি সাধারণ মানুষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতার জন্য আসেন। গরিব মানুষ যেন হাসি মুখে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারেন, সে জায়গাটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে মাঠ প্রশাসনকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি প্রতি সপ্তাহে একদিন মানুষের দুঃখ-কষ্ট শোনার জন্য হেয়ারিং ব্যবস্থা করা। প্রত্যেকটি বিভাগের ভেতর জেলা প্রশাসকের অধীনে সমন্বয়ভাবে কাজ তৈরি করে মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা।’

‘প্রশাসনকে মানুষের শেষ ভরসার জায়গা, অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য জায়গায় পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কর্মকর্তাদের লক্ষ্য স্থির করতে আমার অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তাদের সাথে বসার চেষ্টা করছি এবং বোঝানোর চেষ্টা করছি। মনে রাখতে হবে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ, জনগণের সেবক হিসেবে আমাদের কাজ করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

ফরহাদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই। সুশাসন বলতে মানুষকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়া, জনগণের সেবক হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করা।

‘মানুষের সেবায় আমি কাজ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো,’ বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।-ইউএনবি

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ