শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শঙ্খ নদীর সেতু বদলে দেবে ৪০ হাজার গ্রামবাসীদের ভাগ্য

চন্দনাইশ থেকে এম কাদেরী : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পূর্ব দিকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ধোপাছড়ী ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন শঙ্খ নদীর উপর একটি সেতু নির্মিত হলে ধোপাছড়ি ৩০ হাজার লোকের ও পার্শ্ববর্তী সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের শীলঘাটা এলাকার ১০ হাজার মানুষের ভাগ্য বদলে গিয়ে রচিত হবে দুই উপজেলার একটি সেতুবন্ধন। সরজমিন পরিদর্শনে এলাকাবাসী জানান, ভোট আসলে তাদের কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যায়, তখন সর্বপ্রথম প্রাণের দাবী থাকে, ধোপাছড়ী শঙ্খ সেতু নির্মাণের জনপ্রতিনিধিরা আসার বাণী শুনিয়ে ভোট আদায় করার পর নির্বাচিত হলে তাদের কথা আর কেহ মনে রাখে না। এই সেতুটি না হওয়ায় শঙ্খ নদীর উপকূলের ২ ইউনিয়নের মানুষকে পারাপার করতে ভরসা করতে হচ্ছে নৌকার ফেরী করে। নদী পার হতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের স্বীকার হয় এখানকার আবাল, বৃদ্ধা, স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীসহ সরকারি ও বেসরকারি চাকুরীজীবী লোকদের ফেরীতে পার হলে ইজারাদার ২টাকা নেওয়ার স্থলে জন প্রতি ৫টাকা করে জোর পূর্বক আদায় করছে। তাছাড়া ধোপাছড়ী ও শীলঘাটা বাসী চন্দনাইশ উপজেলায় ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে শঙ্খ নদী নৌকা করে পার হয়ে যাওয়া, উল্লে¬খ্য যে, ধোপাছড়ী ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে ২টি সরকারি বন বিট অফিস, ১টি তদন্ত পুলিশ ফাঁড়ী ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি বেসরকারি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা, ২টি বাজার, ১টি সরকারি হাসপাতাল হওয়ার শর্তেও প্রতিদিন শতশত লোকজন ও ছাত্র/ছাত্রী উঁচু নিচু নদীতে পথ বেয়ে পারাপার হতে গিয়ে ছোটঘাট দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ধোপাছড়ী বাজার কাঁচা তরি তরকারী আনা নেওয়ার সময় দুর্ভোগের শেষ থাকে না। তবুও চলাচল করতে হচ্ছে নিরুপায় হয়ে। বর্ষা মৌসুম এলে নদীপথে নৌকা ফেরী পার হতে গিয়ে উজান থেকে নেমে আসা নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে গত কয়েক বৎসরে ১০/১২ জনের মত সলিল সমাধি হয়েছে। অন্যদিকে ধোপাছড়ী পুলিশ বিট অফিসের উত্তর পাশের্^ গন্ডা মারা মাঝর পাড়ার পূর্ব এবং পশ্চিম ধোপাছড়ি মৌজার সংযোগস্থল খাল পারাপারের জন্য একটি ফুট ব্রিজও এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি। ধোপাছড়ী ৫ নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য আবদুর জাব্বার ও ইউপি সদস্য রাশেদ এর সাথে কথা হলে তারা জানান ব্রিজ ২টি এখন সময়ের দাবি। এই ব্যাপারে ধোপাছড়ী ইউ,পি চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম জানান আমরা এ পর্যন্ত জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সংসদ সদস্যকে অবহিত করে কয়েকবার ব্রীজটি নির্মাণ করার আবেদন করে দেন দরবার করেছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আক্ষেপ করে বলেন, দিন বদলায় মানুষ বদলায় কিন্তু ধোপাছড়ী ও শীলঘাটা বাসীর ভাগ্য বদলায়না। এই দিকে চন্দনাইশ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল জব্বারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান এই জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি নির্মাণ করা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিল।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সেতুকে নির্মাণ করার জন্য অবহিত করেছি। সরকার পরিবর্তন হলে আমার প্রচেষ্ট অব্যাহত থাকবে। এই সেতু ২টি নির্মিত হলে দুই ইউনিয়ন বাসীর ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষা, চিকিৎসা যাতায়ত ব্যবস্থা সহজ হবে। কৃষকদের উৎপাদিত সবজী বিক্রি করে গ্রামের লোকজনের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে, বেকার দরিদ্র লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে। দুর্গম পাহাড়ীবাসী মান উন্নত ধোপাছড়ী ও সাতকানীয়া পুরানগড় ইউনিয়নের শীলঘাটার দৃশ্যপট বদলে গিয়ে অর্ধ লক্ষাধিক লোকের উপকৃত হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ