মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

যমুনার চরে এক হাজার মানুষের সচ্ছলতা এনেছে নেপিয়ার ঘাস

আব্দুস ছামাদ খান, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ থেকে: চৌহালীর যমুনা নদীর চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ এখন নেপিয়ার ঘাস চাষ করে নির্বাহ করছে জীবন-জীবিকা । অথচ কয়েকমাস আগেও যমুনার বিশাল চরাঞ্চলে ছিল বিশাল বিস্তৃত কাশবন। তখন গো-খাদ্যের জন্য চরবাসীকে ভাবতে হয়নি।  নদী ভাঙ্গা গৃহহারা চরবাসীর সেকাল-একালে গবাদিপশুই এক মাত্র সম্পদ। কিন্তু চরে এখন আর আগের মত কাশবন নেই। সেখানে এখন বিস্তৃত চরভূমিতে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস।

ধু-ধু বালুচরের বুক এখন ছেয়ে আছে সবুজ নেপিয়ার ঘাসে। গো-খাদ্য হিসাবে নেপিয়ার ঘাস চাষ করে দুর্গম চরের প্রায় ১ হাজার ভূমিহীন চরবাসী এখন নিজেদের অভাব মোচনে সক্ষম হয়েছে। নেপিয়ার ঘাস চাষ করে গো-সম্পদ রক্ষা করছে চরবাসীরা। চৌহালীর ৭টি ইউনিয়নের 

যমুনা নদীর দুর্গম চরে ২ লাখ মানুষের সববাস। নদী ভাঙ্গা সর্বস্বহারা এই বিপুল সংখক মানুষ এ চর থেকে সে চর ঘুরে বেড়ায়। গবাদিপশুই তাদের এক মাত্র সম্পদ। কিন্তু কাশবনের বিলুপ্তির পর পশু সম্পদ অধিদপ্তর চরে চরে নেপিয়ার ঘাস চাষের জন্য পরামর্শ দিয়েছে চরবাসীকে। প্রভাবশালীদের দখল করা চরের জমি লিজ নিয়ে ভূমিহীনরা এখন অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি চাষ করছে নেপিয়ার ঘাস।

সোদিয়ায়াচাদপুর, ঘোরজান, খাসপুকুরিয়া, স্হল, খাসকাউলিয়াসহ সাতটি ইউনিয়নের  দুর্গম চরে উৎপাদিত নেপিয়ার ঘাস চরের গবাদি পশুর চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।

নদীর ঘাটে ও সদরে বসেছে নেপিয়ার ঘাসের হাট। এই ঘাস বিক্রি করে চৌহালীর স্হল চরের কাশেম আলী, সোদিয়াচাদপুরের আব্দুল মন্ডল ও খাসপুকুরিয়ার  আব্দুল লতিফসহ  অন্তত ১ হাজার চরজীবী মানুষ ফিরে পেয়েছে আর্থিক সচ্ছলতা।    চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিসার জেরিন আহমেদ জানান,চৌহলী উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ঘাসের চাষ করছেন কৃষকরা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ