ফণীর পরিবার পাচ্ছে ঘর
খুলনা অফিস : ঘূর্ণিঝড় ফণী দেশে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও খুলনার দাকোপের মাসুম গাজীর পরিবারের কাছে ধরা দিয়েছে আশীর্বাদ হয়ে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর রাতে চালনা পৌরসভার মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মাসুম গাজীর স্ত্রী রেশমী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। সেখানে তিনি জন্ম দেন কন্যা শিশুর। তার নাম রাখা হয় ‘ফণী আক্তার’। খবর পেয়েই খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে উপহার হিসেবে দেয়া হয় নগদ টাকা ও পাকা ঘর। এতে আনন্দের বন্যা বইছে ফণীর পরিবারে। ফণীর বাবা মাসুম গাজী জানান, ফণীর জন্মে তাদের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাসজমি ও বাড়ি উপহার পাচ্ছেন তারা। প্রশাসন এ বাড়ি তৈরি শুরু করেছেন। ফণী তাদের দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম সন্তান মাসুমার বয়স পাঁচ বছর। তারা ওয়াপদা বাঁধের ওপরই বসবাস করতেন।
তিনি আরও জানান, ৩ মে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে আশ্রয়কেন্দ্রে ফণীর জন্ম হওয়ার পর ওই রাতেই দাকোপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হয়। সেখান থেকে মা ও মেয়েকে বাড়িতে আনা হয় ৫ মে। আর ৬ মে প্রশাসন থেকে উপহারসামগ্রী প্রদান করাসহ বাড়ি দেয়ার ঘোষণা করা হয়। ৭ মে প্রশাসন এ বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ফণীর পরিবারটি ওয়াপদার ওপর ঘর করে বাস করছে। এ পরিবারের জন্য পাশের একটি খাসজমিতে ঘর তৈরির কাজ মঙ্গলবার শুরু করা হয়েছে, যা দ্রুত সম্পন্ন করে ফুণীর পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।’ উপজলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ৩ মে শুক্রবার উপজলার চালনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাসুম গাজী ঝড়ের কবল থেকে বাঁচতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেশমী বেগমক নিয়ে ঝড়ের কবল থেকে বাঁচতে স্থানীয় মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেন। ওই দিন সন্ধ্যার আগেই প্রসব বেদনা উঠলে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত অন্যান্য মহিলা ও উপজলা সহকারী কমিশনার ভূমি ডা. সঞ্জীব দাশের সহযাগিতায় রেশমীর কোলজুড়ে আসে নবজাতক শিশুটি। এমন খবর জানতে পেরে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ সোমবার বিকেল ৫টায় রেশমীর বাড়িতে শিশুটিকে দেখতে যান। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দেয়া নগদ টাকা, নতুন পোশাক তুলে দেন ফণীর পরিবারের হাতে। এছাড়া ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ঘর তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।