শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রামে কারাবন্দিদের জন্য সিলিং ফ্যান এলইডি টিভি দিল চসিক

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দিদের জীবনমান উন্নয়নে কারাবন্দি পুরুষ,মহিলা ও শিশুদের জন্য ৫০০ টি সিলিং ফ্যান এবং ৫০ টি এলইডি টেলিভিশন প্রদান করলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন গতকাল মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় কারাগারে এইসব বিদ্যুৎ সামগ্রী কারাবন্দিদের হাতে তুলে দেন।
 এই সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভিন জেসি,কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন,চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এর জেলার নাছির আহমেদ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ কামাল হোসেন,বেসরকারী কারা পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান,মোহাম্মদ আবদুল মান্নান,শেখ ফোরকানুল হক চৌধুরী চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলুন কুমার দাশসহ বেসরকারীকারা পরিদর্শক,কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ২১ জানুয়ারি সিটি মেয়র কারাগার পরিদর্শনকালে কারাবন্দিদের জন্য ব্যবহার্য সমগ্রী প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন কারাগারকে বন্দিরা সংশোধনাগার হিসেবে মনে করতে পারেন। সংশোধনের মাধ্যমে পরবর্তীতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। সরকারও চায় কারাবন্দীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। এ জন্য সরকার তাদের জন্য সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে নানামুখি উদ্যোগ নিয়েছে। এই কারাগার শুধু শাস্তি জায়গা নয় ,সংশোধনের জায়গাও । বর্তমান সরকার এই কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে রুপান্তরে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপের মধ্যে যারা দীর্ঘদিনের জন্য বন্দি থাকবে, তাদের রোজগারের ব্যবস্থা, মানবিক জীবনযাপনের ব্যবস্থা। কারাগার থেকে বের হয়ে তারা পরিবাবের বোঝা না হয়ে কর্মক্ষম ও উপাজনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে সমাজে পুর্ণবাসিত হবে এটাই মেয়রের প্রত্যাশা। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশী বন্দী থাকার বিষয়ে মেয়র উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে মেয়র কারাবন্দিদেরকে জেল কোড যথাযথ অনুসরণ করার আহবান জানান।

চট্টগ্রামের বায়েজীদ বাংলাবাজার এলাকায় প্রায় ৫০টি অবৈধ
দোকান উচ্ছেদ করলেন চসিক ভ্রাম্যমান আদালত
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যেগে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফিয়া আখতার এর নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযানকালে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় রাস্তার উপর অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় প্রায় ৫০টির মত ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এই সময় রাস্তার উপর দোকানের অংশ বর্ধিত করায় বাংলাবাজার এলাকার ২৮টি দোকানের প্রত্যেকটিকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা,কর্মচারী, বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেটকে সহায়তা করেন।

চট্টগ্রামে নাগরিক পদযাত্রার চতুর্থ দিনে  খোরশেদ আলম সুজনের আহবান
ওজনে কম, ভেজালে বেশী ও অতিরিক্ত দাম এই প্রবণতা পরিহার করুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো-চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সমস্যা চিহ্নিত করণ এবং তা থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে কর্মপন্থা নির্ধারনের জন্য জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের নেতৃত্বে নগরীতে পঁচা, বাসী ও ভেজাল পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় এবং পরিবেশন থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত রাখার লক্ষ্যে নাগরিক পদযাত্রার চতুর্থ দিন   ১৪ মে মঙ্গলবার বিকাল ৩  টায় চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র বহদ্দারহাট বাজার থেকে শুরু হয়।এ সময় বহদ্দারহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে জনাব সুজন বলেন, অধিক মুনাফাখোরীর মনোভাব নিয়ে খাদ্যকে আকর্ষণীয় করার জন্য এমাইলাম, ইউরিয়া, ফরমালিন, কেলসিয়াম কার্বাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যা মানব দেহের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক। এর পাশাপাশি ওজনেও কম দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আবার অহেতুক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে ক্রেতা সাধারনের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে। এগুলো কোন সুস্থ মানুষের কাজ নয়। একজন সুস্থ মানসিকতার মানুষ কখনোই এ ধরণের অপরাধ করতে পারে না। এটি এক প্রকার প্রতরণা এবং ধোকাবাজিও বলা চলে। ইসলামে এ ধরনের কাজ চরমভাবে নিন্দিত। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তাদের উপার্জিত অর্থ অবৈধ হওয়ায় তাদের ইবাদত কখনো কবুল হবে না। কারণ মানুষের ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হল হালাল রুজি। অথচ ইবাদত বন্দেগীর পবিত্র এ রমজান মাসে এ ধরণের অপরাধ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তিনি বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ও নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বহদ্দারহাট বাজার ঘুরে দেখেন ও ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্যে ভেজাল এবং ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পান। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বিভিন্ন দোকানে বেনামী নি¤œমানের তেল বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পান। তিনি ব্যবসায়ীদের ওজনে কম, ভেজালে বেশী ও অতিরিক্ত দাম নেওয়ার দূর্নাম ঘুঁচিয়ে সৎভাবে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করার আহবান জানান। জনাব সুজন বিএসটিআই এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণকে বহদ্দারহাট বাজারে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার অনুরোধ জানান।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ কামাল মেম্বার, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী হোসেন কোম্পানী, আব্দুর রহমান মিয়া, মোঃ নিজাম উদ্দিন, আব্দুর রউফ, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান প্রমূখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ