বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধসহ আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস প্রদান করুন

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে ৬% এর পরিবর্তে ১০% তথা অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রতিবাদে আজ ১৮ মে/২০১৯ রোজ শনিবার “ঢাকা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে” “বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি” ও “এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম” এর ডাকা সংবাদ সম্মেলন ও ইফতার এবং দোয়া মাহফিলে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন- শিক্ষকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা  ছাড়াই তাদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন আইনের লংঘন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ৫% বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন গত নভেম্বরে। মাত্র ৫ মাসের মাথায় আবার ৪% কর্তন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন- এটি সরকার বিরোধী একটি গভীর চক্রান্ত। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন- বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে ২৫% ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন, যা দিয়ে তাঁরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই তাঁরা পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাসসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখার জোর দাবী জানান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ফেরত নিয়ে হলেও জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অতিরিক্ত ৪% কর্তনের আদেশ তথা কর্তন প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘটসহ সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসাথে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অপসারণ করার জোর দাবীসহ শিক্ষকদের কর্তনের টাকার হিসাব ও যথারীতি অডিট করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম রনি এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোঃ মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাশিসের উপদেষ্টা সাজেদা বেগম, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ মঞ্চের  আফজালুর রশীদ ও আবুল বাশার নাদিম, বিটিসি এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব মোঃ মঈনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ হান্নান সরদার, লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ ফিরুজ মিয়া, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল আমিন শেখর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ বজলুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ এনামুল হক প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ