বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফিলিস্তিনী বন্দীদের ঈদ

নিজ ভূমিতে ভূমিপুত্ররা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছে! তাদের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদীরা। ইসরাইল আসলে বেপরোয়াভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাতে পারছে বর্তমান সভ্যতার চ্যাম্পিয়নদের ভ্রষ্টনীতি ও ঔদ্ধত্যের কারণে। ইসরাইলী সেনারা ফিলিস্তিনী বসতিতে হামলা চালাচ্ছে, চালাচ্ছে হত্যাযজ্ঞও। তারা স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনী নর-নারী ও শিশু-কিশোরদের বন্দী করছে, নির্যাতন চালাচ্ছে কারাগারে। বিশ্বের গণমাধ্যমে কখনো কখনো ওইসব নির্যাতন ও নৃশংসতার খবর প্রচারিত হয়। তখন সভ্যতার শাসকদের যেন ঘুম ভাঙে। তাদের মুখ থেকে দু’চারটি সুবচন উচ্চারিত হয়। তারপর আর কোনো অগ্রগতি হয় না। ফলে ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটির ঔদ্ধত্য ও আগ্রাসনের মাত্রা বাড়তেই থাকে। তেলআবিবের বদলে তারা এখন ফিলিস্তিনী শহর জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী বানাতে চাচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই আবদারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ সবাই জানে, ফিলিস্তিনীরা বহু আগেই তাদের প্রিয় ও পবিত্র শহর জেরুসালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্থির করে রেখেছে। ফলে বর্তমান সময়ে এই রাজধানী-দ্বন্দ্ব ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলী নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
বর্তমান সভ্যতা যেন ফিলিস্তিনীদের গ্রেফতার, নির্যাতন ও বন্দী রাখার ব্যাপারে ইসরাইলকে ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছে। ফলে যাচ্ছেতাইভাবে ফিলিস্তিনী নাগরিকদের গ্রেফতার ও বন্দী করে চলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আর এই শাওয়াল মাসে লক্ষণীয় বিষয় হুলো, ইসরাইলের কারাগারে বন্দী শত-সহস্র ফিলিস্তিনী শিশু-কিশোর ও যুবককে এবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে দেয়নি দেশটির কারা-কর্তৃপক্ষ। মিডলইস্ট মনিটর-এর খবরে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ঈদের সময় কারাগারে বন্দীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। এমন ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের কারাগার বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল কাদরি আবু বকর। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনী বন্দীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ক্রমাগত অত্যাচার-নির্যাতন তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এমনকি ফিলিস্তিনের মুসলিম বন্দীদেরকে এবার তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরও উদযাপন করতে দেয়া হয়নি।
মিডলইস্ট মনিটর-এর খবরে আরো উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন কারাগারে ফিলিস্তিনী বন্দীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে রুটিনমাফিক নির্যাতন করা হচ্ছে। কারাবন্দীরা যাতে স্থিরভাবে জীবনযাপন করতে না পারে সে জন্য তাদেরকে ঘন ঘন বিভিন্ন জেলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আর এবার ঈদুল ফিতর উদযাপনে ইসরাইলী কারা-কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা আগের সব বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। আসলে ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি তো প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনীদের ওপর বর্বর আচরণের নতুন নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে। এতে কি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে? সভ্যতার শাসকদের কাছে কি এর কোনো জবাব আছে?

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ