শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চলছে ব্যাপক তুলা চাষ

বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে তুলা শ্রমিকরা কাজ করছে -সংগ্রাম

জামালপুর সংবাদদাতাঃ জামালপুর জেলার বিস্তির্ণ চরাঞ্চলের ভুমিতে এবার ব্যাপক তুলা চাষ হয়েছে। ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পাড়ের  পিছিয়ে থাকা চরাঞ্চলে কৃষকরা এবার তুলা চাষাবাদ করে কৃষকদের মাঝে আশার আলো জাগ্রত হয়ে উঠেছে। চরাঞ্চলে এক সময়ের অনাবাদী জমিতে এবার তুলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। তাই চরাঞ্চলের বেলে দোয়াশ মাটিতে তুলা চাষ দিন দিন ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, জামালপুর সদর উপজেলার পাথালিয়া, চন্দ্রা, পিয়ারপুর, সেনের চর, নান্দিনা বানারের পাড় এলাকায় এবং ইসলামপুর উপজেলার পিরিজপুর, চর ডফলার ও শুভপুর এলাকায় এবার ব্যাপক তুলার চাষ হয়েছে। শুভ্র তুলায় ভরে উঠেছে জামালপুর জেলার বিস্তির্ণ চরভুমি। যমুনা ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদের চরের শুস্ক ভুমিতে ধান ফলানো কঠিন। আখ, পাট, সরিষা, কালাইসহ অন্যান্য ফসল করে খুব একটা লাভের মুখ দেখা পায়নি কৃষকরা।  কারণ এবার জেলায় আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফলনের পাশাপাশি দামও ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা। পাথালিয়া এলাকার তুলা চাষী খলিলুর রহমান খলিল, ইব্রাহিম সরকার, সোলয়মান  হাকিম, মফিজ সরকার ও রুবেল মিয়া জানান, তুলা চাষ করতে প্রায় বিঘা জমিতে কৃষকদের গড়ে খরচ হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর ভাল জাতের তুলার বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় ১০ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত। প্রতিমণ তুলার মুল্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। তাতে বিঘা প্রতি খরচ বাদে দেড় গুন লাভ হয়। যা অন্য কোন ফসলে এত লাভ হয় না।  তুল চাষী সেলায়মান জানান, তিনি এবার ৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ করেছেন। এ বিষয়ে জামালপুর জেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এবার বীজতুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৭০ মে.টন । যা গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫০ মে. টন। এ বছর আঁশ তুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,৬৫০ বেল। গত বছর আঁশ তুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১,৪৩০ বেল। যা গত বছরের তুলনায় এবার বেশী অর্জিত হবে। এবার জেলার ২২৫ হেক্টর জমিতে সিবি ১৪, সিবি হাইব্রিড-১, রূপালী- ১ ও ডিএম- ৩ জাতের তুলার চাষ হয়েছে। চলতি বছর তুলা উন্নয়ন বোর্ড প্রতিমণ তুলার দাম নির্ধারন করেছে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। এ অঞ্চলে অনাবাদি, পতিত জমি তুলা চাষের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের সব ধরণের সহায়তা এবং প্রযুক্তি দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে দিন দিন এর পরিধি আরো বৃদ্ধি পায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ