শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে ৩৮১ রানের বিশাল স্কোর অস্ট্রেলিয়ার

রফিকুল ইসলাম মিঞা : বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ৩৮২ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে করে ৩৮১ রান। ওয়ার্নার সেঞ্চুরিসহ ১৬৬ রান, উসমান খাজা ৮৯ রান আর অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ৫৩ রানর ওপর ভর করে ৩৮১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে দলটি। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র সৌম্য সরকার ছাড়া কোনো বোলারই ভালো করতে পারেননি। ফলে বড় স্কোর গড়ার সুযোগ পায় চ্যাম্পিয়নরা।  গতকাল টস জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ করার টার্গেট ছিল চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। টার্গেটটা ঠিকই পূরণ করেছে দলটি। আগে ব্যাট করে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে করেছে ৩৮১ রান। অবশ্য ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে সতর্কতার সঙ্গে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম থেকেই দুই ওপেনার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ আর ডেভিড ওয়ার্নার রানের গতি ঠিক রেখে বাংলাদেশের বোলারদের দেখেশুনে খেলছিলেন। ফলে ওপেনিং জুটিতেই দলটি পৌঁছে যায় ১২১ রানে। নিয়মিত বোলারদের ব্যবহার করে বারবার চেষ্টা করেও এই জুটির পতন ঘটাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্ত ঠিকই কাজে লেগে যায়। বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অ্যারন ফিঞ্চকে আউট করেন সৌম্য সরকার। ফিঞ্চকে রুবেল হোসেনের ক্যাচ বানান সৌম্য। তবে আউট হওয়ার আগে ফিঞ্চ ৫১ বলে করেন ৫৩ রান। যার মধ্যে ছিল ৫টি চার আর ২টি ছক্কা। দলীয় ১২১ রানে ওপেনিং জুটির পতন হলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উসমান খাজাকে নিয়ে ওয়ার্নার দলকে বিশাল স্কোরের পথে নিয়ে যায়। কারণ এই জুটি ভাংগার আগেই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যায় ৩১৩ রানে। এই জুটির সংগ্রহ ১৯২ রান। ওয়ার্নারের বিদায়ে ভাংগে এই ভয়ঙ্কর জুটি। এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন সৌম্য সরকারই। ওয়ার্নারকেও শর্ট থার্ড ম্যানে রুবেলের ক্যাচ বানান। তবে আউট হওয়ার আগে ওয়ার্নার এবারের বিশ্বকাপে তার দ্বিতীয় আর সবমিলিয়ে ১৬তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন, আর আউট হওয়ার আগে করেন ১৬৬ রান। ১৪৭ বলে ১৪ চার আর ৫ ছক্কায় ওয়ার্নার সাজান তার সেঞ্চুরিসহ ১৬৬ রানের ইনিংসটি। এতেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান করে সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক দূরে এগিয়ে যান ওয়ার্নার। তার মোট রান এখন ৪৪৭। অথচ ওয়ার্নারকে মাত্র ১০ রানে ফিরাতে পারতো বাংরাদেশ। মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু সাব্বির রহমান সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি। ফরে ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় জীবন পেয়ে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নার বিদায় নিলেও খাজার সাথে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বল খেলার সুযোগ পেয়ে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৩২ রান করেন তিনি। দলীয় ৩৫২ রানে তাকেও ফিরতে হয় সৌম্যর বলে রান আউট হয়ে। রুবেল সরাসরি থ্রো করে ভেঙে দেন স্ট্যাম্প। একই ওভারেরই পঞ্চম বলে উসমান খাজাকে বিদায় করেন সৌম্য সরকার। এবার খাজাকে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ বানান তিনি। তবে আউট হওয়ার আগে ৭২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৯ রান করেন খাজা। ফলে দলীয় ৩৫৩ চার উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট করতে নেমে স্টিভ স্মিথ মোটেও ভালো করতে পারেননি। মাত্র এক রান করে মোস্তাফিজের বলে এক রানে এলবি আউট হন। তবে মার্কোস স্টোয়নিস ১৭ আর এ্যালেক্স ক্যারি ১১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে নিয়ে যান ৩৮১ রানে বিশাল স্কোরে। বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য সরকার তিনটি আর মোস্তাফিজ একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের মাত্র এক ওভার বাকি থাকতে বৃষ্টির কারণে খেলা ১০ মিনিট বন্ধ ছিল। খেলা শুরু হলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া করে ৩৮১ রান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ