ইতিহাস গড়ে ইনিংস ঘোষণা করলো বিসিবি একাদশ
স্পোর্টস রিপোর্টার : ভারতের ‘মিনি রঞ্জি ট্রফি’তে অংশ নিয়েছে বিসিবি একাদশ। ভিদারভা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে পাহাড়সম রান সংগ্রহ করে বিসিবি একাদশ। দুই ব্যাটসম্যানের শতকের পাশাপাশি জহুরুল ও আরিফুল হকের অর্ধশতক ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৫০০ রান জমা করে ইনিংস ঘোষণা করেছে মুমিনুলরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৯ রানের ইনিংস এসেছে অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাট থেকে। তাছাড়া শতক হাঁকানো আরেক ব্যাটসম্যান শান্ত খেলেছেন ১১৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। জহুরুলের ৯৬ রানের ইনিংসের পাশাপাশি আরিফুলের ব্যাট থেকে এসেছে মূল্যবান ৭৭ রান। প্রথম দিনের ২ উইকেটে করা ৩০৩ রানের সাথে দ্বিতীয় দিনে ৪ আরও ১৯৭ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করেছে বিসিবি একাদশ। ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি নিয়ে খেলতে নামা মুমিনুলের স্বপ্নভঙ্গ হয় ইনিংসের ১০০তম ওভারে। দর্শন নালকান্দের বলে অক্ষয় ওয়াদকারের হাতে ক্যাচ দিলে থামে তার ইনিংস। দলীয় ৩৩৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে সফরকারীদের। আউটের আগে ১৬৯ রানের ইনিংসটি ২২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তিনি তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ৫ বল মোকাবেলায় ২ চারে ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। তাকেও ফেরান নালকান্দে। এর ফলে দলীয় ৩৪৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ। এর কিছুক্ষণ পর একই পরিণতি হয় নুরুল হাসান সোহানের। ১০ বলে ২ রান করে আদিত্যর বলে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। মুহূর্তেই ৩৫৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। এমন পরিস্থিতিতে শান্ত’র সাথে ক্রিজে যোগ দেন আরিফুল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৬ রান যোগ করে বিপর্যয় সামাল দেন এ দু’জন। একইসাথে নিশ্চিত করেন দলের বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পথ গড়ার। শান্ত ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত ১১৮ রানে নালকান্দের বলে আউট হলে ভাঙ্গে এ জুটি। শান্ত’র আউটের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরিফুল। সমান ৫ চার ও ছক্কায় ৭৭ রান করা এ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন গুরবানি। তার ফিরে যাওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ৫০০ রান যোগ হতেই ইনিংস ঘোষণা করে চা পানের বিরতিতে যায় সফরকারীরা। প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলারদের মধ্যে ৭৯ রান খরচায় নালকান্দে লাভ করেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট।