শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ কাজ শুরু

খুলনা অফিস : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) উদ্যোগে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ কাজ শুরু হয়েছে। ভিআইপি সড়ক হিসেবে পরিচিত কেডিএ এভিনিউকে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন সড়কের রূপান্তর করতে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকার মধ্যে করা হচ্ছে আবু আহম্মদ সড়ক ও ড্রেন-ফুটপাত নির্মাণ। কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী-৩ মো. মশিউজ্জামান খান বলেন, কেডিএ এভিনিউ সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপম্যান্ট ফান্ড (বিএমডিএফ)-এর আর্থিক সহযোগিতায় এ উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। কাজটি আগামী ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেষ করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা থাকায় কাজটি বর্ষা মওসুম হওয়া সত্ত্বেও শুরু করা হয়েছে। তা না হলে টাকা ফেরত চলে যাবে। ড্রেনটি হবে শিববাড়ি মোড় থেকে রয়্যালের মোড় পর্যন্ত ১৮৬৬ মিটার লম্বা। ড্রেনের প্রস্থ হবে ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি। বর্তমান আছে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট। গভীরতা হবে সাড়ে ৫ ফুট। বর্তমান যা আছে তার থেকে নিচের দিকে গভীরতা বাড়বে। ড্রেনের ওপর পাথর দিয়ে ঢালাই হবে। ড্রেনের সাথে থাকবে ফুটপাত। সব মিলিয়ে চওড়া হবে ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি। ড্রেন ও ফুটপাতের ওপর দেওয়া হবে টেভিং টাইলস। ড্রেন নির্মাণ শেষে সমগ্র সড়ক হবে পিস দিয়ে কার্পেটিং। রাস্তা চওড়া হবে ১১ মিটার করে ২২ মিটার। এখন যা আছে তাই হবে। সড়ক আর ড্রেনের মাঝে হবে শশসার ড্রেন। এ কাজে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ৮শ’ ৯৫ টাকা। ১৩ জুন এ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎ পোল অপসারণ করতে দেরি হওয়ায় কেসিসি তার কাজে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান কেসিসি উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের জেলা সম্পাদক এডভোকেট কুদরৎ ই খুদা বলেন, বর্ষা মওসুমে ড্রেন বা সড়কের কাজ করা উচিত নয়। কারণ ঠিকাদারদের ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থেকেই যায়। আর সড়কের দুই দিকের ড্রেন একসাথে খুঁড়লে এই বর্ষার সময় জনভোগান্তিও বাড়তে পারে। তবে কাজ বুঝে নিতে পারলে হয়তো ক্ষতির ঝুঁকি কমবে। এ সব কাজে নাগরিক নেতাদের সম্পৃক্ত করলে কাজের মান ধরে রাখা যায়। তবে এ কাজের মান নিশ্চিত করতে হলে তদারকি বাড়াতে হবে বলে এ নাগরিক নেতা মনে করেন।
জিয়াউল ট্রেডার্স নামের ফার্মটি কাজ করছে। কাজের ঠিকাদার তসলিম আহমেদ আশা বলেন, বিদ্যুৎ পোল ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাজে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজে বিএমডিএফ বাংলাদেশসহ এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশে অর্থায়ন করছে। এ কাজটি তারই অংশ বলে তিনি জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ