শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

জাহাজ সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছে ব্রিটেন

২২ জুলাই, রয়টার্স : পারস্য উপসাগরে ইরান কর্তৃক জাহাজ আটকের ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা পর্যালোচনা করে দেখছে ব্রিটেন। 

সমস্যাটি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল সোমবার সকালে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার দপ্তরের ব্রিফিং রুমে (সিওবি আর) ইমার্জেন্সি রেসপন্স কমিটির এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে সভাপতিত্ব করবেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে। 

গত শুক্রবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরোকে জব্দ করে নিজেদের বন্দর আব্বাসে নিয়ে যায় ইরানের রেভোলুশনারি গার্ড। দুই সপ্তাহ আগে জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করে ব্রিটিশ নৌবাহিনী। তার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবেই ইরান ব্রিটিশ জাহাজ জব্দ করেছে তা অনেকটাই পরিষ্কার।

এ ঘটনার জবাব তারা কীভাবে দিবে তা নিয়ে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে তেমন একটা ধারণা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা।  

জব্দ করা জাহাজটি ইরানের বন্দর আব্বাসে নোঙর করা আছে, এমনটি একটি ভিডিও ফুটেজ ইরানি এক বার্তা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়ার কথা জানিয়েছে রয়টার্স। ওই ফুটেজে দেখা গেছে, নোঙর করা ব্রিটিশ জাহাজটিতে ইরানি পতাকা শোভা পাচ্ছে।

এ বিষয়ে তারা কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার সোমবার পার্লামেন্টে তা জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর সম্ভাব্য সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় লন্ডনের নিতে পারার মতো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ তেমন একটা নেই।

ইরানের পদক্ষেপকে ‘শত্রুতামূলক কাজ’ বলার একদিন পর রোববার ব্রিটিশ শীর্ষ কর্মকর্তারা তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিলেন। এতে পরিষ্কার হয়েছে জবাবের বিষয়ে তারা তখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।  

স্কাই নিউজকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী টোবিয়াস এলউড বলেছেন, “অনেকগুলো বিকল্প খতিয়ে দেখতে যাচ্ছি আমরা। প্রকৃতপক্ষে কী করা যায় তা নিয়ে আমরা আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে, আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে কথা বলবো।

“আমাদের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে চলতি জাহাজ ইস্যু নিয়ে একটি সমাধান বের করা, ওই জলপথে অন্যান্য ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজ যেন নিরাপদে চলতে পারে তা নিশ্চিত করা, এরপর বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দৃষ্টি দেওয়া।”

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ