শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনার ৪২ ইউনিয়নে ৫৮৯ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত

খুলনা অফিস : উপকূলবর্তী জেলা খুলনায় কালাজ্বর, ডায়রিয়া ও এইডস রোগীর পাশাপাশি আর্সেনিকোসিস রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। জেলার সবক’টি উপজেলায় নলকূপে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। ৪২টি ইউনিয়নে ৫৮৯ জন আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে। ২০০৩ সালে জেলায় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৮০জন, ২০১১ সালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৮ জনে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্র জানান, অপরিকল্পিতভাবে পানি উত্তোলনের ফলশ্রুতিতে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। সে স্থানটি দখল করছে বাতাস। ভূ-গর্ভস্থ শিলায় স্তর ও বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারন-বিজারনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আর্সেনিক পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যাচ্ছে। খুলনার ৫৯ হাজার ৮২১টি অগভীর নলকূপের মধ্যে ২৫ হাজার ৬৯৩টি নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র মতে, আর্সেনিক কবলিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা, রংপুর, পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালি, কপিলমুনি, লতা, দেলুটি, শোলাদানা, লস্কর, গদাইপুর, রাঢ়ুলি, চাঁদখালি, কয়রা উপজেলার আমাদি, বাগালি, মহারাজপুর, দাকোপ উপজেলার চালনা, দাকোপ, তিলডাঙ্গা, কামারখোলা, বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা, ভান্ডারকোর্ট, বালিয়াডাঙ্গা, আমিরপুর, রূপসা উপজেলার আইজগাতি, শ্রীফলতলা, নৈহাটি, টিএস বাহিরদিয়া, ঘাটভোগ, তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ, ছাচিয়াদহ, আজগড়া, মধুপুর, তেরখাদা, বারাসাত, দিঘলিয়া উপজেলার যোগিপোল, সেনহাটি, দিঘলিয়া, গাজীরহাট ও বারাকপুর।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট জানান, ডুমুরিয়া, তেরখাদা, রূপসা, দিঘলিয়া ও পাইকগাছা উপজেলায় অগভীর নলকূপে আর্সেনিকে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি।
খুলনা জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক জয়ন্ত নাথ চক্রবর্তী জানান, আর্সেনিকের প্রকোপ অনেকখানি কমেছে। নতুন কোনো রোগী নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত দিঘলিয়ায় আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ