শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দেশে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যজনক অবস্থা বিরাজ করছে -ডা. শফিকুর রহমান

“ছেলে ধরা এবং মাথা কাটা”র গুজব ছড়িয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ‘পদ্মা সেতুর জন্য শিশুদের মাথা লাগবে’- এ ধরনের একটি গুজব ছড়িয়ে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলে ধরা সন্দেহে মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বিরাজমান এ পরিস্থিেিত দেশের জনগণ বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগণ দারুণভাবে উদ্বিগ্ন।
গতকাল সোমবার বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারের প্রশাসনে চলছে লাগামহীন ঘুষ-দুর্নীতি। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক চলছে গুম-খুন ও মানুষ হত্যা। দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এমনকি ধর্ষণ করে নারী-শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। আবার নতুন করে যোগ হয়েছে ছেলে ধরা সন্দেহে পিটিয়ে মানুষ হত্যা। বাস্তবিকভাবেই দেশে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যজনক অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা এ কোন্ বাংলাদেশকে দেখছি, যেখানে মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই?
তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী এ পর্যন্ত সারা দেশে কমপক্ষে ১০ জনকে পিটিয়ে হত্যা এবং ২২ জনকে আহত করা হয়েছে। এক শ্রেণির উচ্ছৃঙ্খল লোকই এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে যাচাই-বাছাই না করে নিরীহ লোকদের হত্যা করছে। ফলে সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি অভিভাবকগণ সন্তানদেরকে স্কুলে পর্যন্ত যেতে দিচ্ছেন না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থাহীনতার কারণেই উচ্ছৃঙ্খল জনগণের মধ্যে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে।
তাই এ ধরনের গুজব যারা ছড়াচ্ছে এবং যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করছে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করার মত অমানবিক ঘটনা আর যাতে কেউ ঘটাতে না পারে সে জন্য সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ