শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ডেঙ্গু মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে সরকারের ৯ প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার : দেশজুড়ে এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা মোকাবিলায় একজোট হয়েছে সরকারের ৯ প্রতিষ্ঠান। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করবে এসব প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার রাজধানীর কাঁকরাইলে জাতীয় স্কাউট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। ‘পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’ শ্লোগান নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ স্কাউটস, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-(ই-ক্যাব), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, আইসিটি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে।
পরে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরে জোর দিয়ে বলেন, বিশ্বের পরিষ্কার শহরগুলোকে অনুসরণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ সফল হলে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার মতো সক্ষমতা এখন বাংলাদেশের রয়েছে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপরে। বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। শুধু রাজধানী কেন্দ্রীক নয় জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সমন্বিতভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, তার এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডকে দশভাগে ভাগ করে বাড়ি বাড়ি চিরুনী অভিযান পরিচালনা করা হবে। যেসব বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে তা মার্ক করা হবে এবং বাড়ির মালিকদের সচেতন করা হবে। ফলোআপ করতে গিয়ে পূনরায় লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে।
সারাদেশে ১৬ লাখ স্কাউট সদস্য স্বেচ্ছায় ডেঙ্গু সামলাতে কাজ করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে বলে জানান স্কাউট সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে, গত তিন মাসে দেশের ৫০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪০ জন মারা গেছেন, হাসপাতালে এখনো ভর্তি আছেন ৭ হাজার ৭১৬ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪২ হাজার ২শ ৪৩ জন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ