বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা ভারতের নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে -নেজামে ইসলাম পার্টি

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভারতের প্রতিশ্রুতির ওপর আস্থা রাখা যায় না। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ওয়াদা রদ,  সিমলা চুক্তির অবমাননা ও  বাবরী মসজিদ পুনঃনির্মাণের অঙ্গীকার ভঙ্গ তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
সাংগঠনিক সম্পাদক  পীরজাদা সৈয়দ মোঃ আহছানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুফতি আবদুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় নেজামে ইসলাম পার্টির পুরানা পল্টনস্থ  কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ”কাশ্মীর কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। এতে আরো বক্তৃতা করেন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন,  মাওলানা একেএম আশরাফুল হক ও মাওলানা ওবায়দুল হক, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা আজহার আলী, মাওলানা সাইদুর রহমান, কামাল পাশা দোজা  ও ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান প্রমূখ। 
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সীমান্তবর্তী আসাম রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি চলার সমস্যায় বিধ্বস্ত মুসলমানরা। তাদের দেশ হারানোর শঙ্কা তীব্রতর হচ্ছে। আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) নামে ১৯  লাখ মুসলিম তাড়ানোর ফন্দিফিকির করা হচ্ছে।  তেলেঙ্গানাসহ বিজেপি শাসিত আরো কয়েকটি রাজ্যেও মুসলমানদের বিতাড়নের নতুন নীলনকশা হচ্ছে। এমনকি ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কারগিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করা অনারারি লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সানাউল¬াহকে পর্যন্ত আসাম পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বিদেশী হিসেবে। 
 নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখে কাশ্মীরের মুসলমানদের যখন বিপর্যয়কর অবস্থা। তখন গেরুয়াধারী বিজেপির ‘এক দেশ এক জাতি এক ধর্ম’ দর্শনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ এদেশের মানবতার রাজনীতি করার দাবিদার দলগুলো। আর নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ  বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ, পেশাজীবী ও  শিক্ষাজীবীরা।  তারা যেন কারো  কাছে ‘বিবেক বন্ধক’ রেখেছেন।  দিল্লি ¬ অখুশি হয় এমন কিছু করতে নারাজ এসব দল। ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর দলগুলোও  দিল্লির কাছে আদর্শ বিসর্জন দিয়েছেনবলে মনে করেন তারা।
 নেতৃবৃন্দ বলেন,  ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকে দেখা যায় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ধর্মের  মানুষ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বা যেকোনো কারণে বিপন্নবোধ করলে ঢাকার রাজপথে নেমে পড়া  বাংলাদেশের সংস্কৃতি। কিন্তু কাশ্মীর প্রশ্নে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ, চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ নীরব। দেশে তথাকথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেই যারা প্রতিবাদী হয়ে উঠেন,  তাদেরকে কাশ্মীরসহ ভারতে মুসলিমবিদ্বেষের প্রতিবাদ করতে  অনীহ মনোভাব পোষণ করতে দেখা যায়।  অথচ বিশ্বের নিপীড়িত  মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। নেতৃবৃন্দ  কাশ্মীরের জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্যে বিশ্বের  স্বাধীনতাকামী  প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান । প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ