চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনস্বার্থ বিরোধী
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটে গত সোমবার ওয়াসা কার্যলয়ের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে এবং মানবন্ধন শেষে ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মাধ্যমে স্থানায়ী সরকার মন্ত্রনালয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলার সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, বাসদ (মার্কাসবাদী) সদস্য সচিব অপু দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ এর ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, আরো বক্তব্য রাখেনে- অমৃত বড়–য়া, আকরাম হোসেন, আরিফ মাইনুদ্দিন।সভা শেষে একটি প্রতিনিধি দল ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
বক্তরা বলেন- চট্টগ্রাম ওয়াসা আবারো পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একদফা ৫% বৃদ্ধি করে আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৯ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৯২ পয়সা এবং বাণিজ্যিকে ২৬ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা করেছে। আবারো পানির দাম বাড়িয়ে আবাসিকে (৯টাকা ৯২পয়সা থেকে) ১৬ টাকা এবং বাণিজ্যিকে (২৭টাকা ৫৬ পয়সা থেকে) ৪৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনস্বার্থ বিরোধী। কেননা এ বৎসর ফেব্রুয়ারি মাসে একদফা মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। একই বছর পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি বে-আইনি। চট্টগ্রাম ওয়াসা একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। মূল্য বৃদ্ধির পূর্বে জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। বর্তমানে একটু বৃষ্টিতেই চট্টগ্রামের একতৃতীয়াংশ পানির নিচে ডুবে থাকে, যা ব্যবসা-বাণিজ্য-শিক্ষা-শিল্প-যোগাযোগ জনজীবন ইত্যাদিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে চলেছে। ইতিমধ্যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির চাপে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে তার সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি তো আছেই।
অসংখ্য গ্রাহক নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছেন না। বহু এলাকার গ্রাহক ওয়াসার সরবরাহকৃত পানিতে লবণ লৌহ ও জীবাণু দূষণের কারণে নানান পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, এমনকি মৃত্যুবরণ ও করেছে। অপর দিকে অসংখ্য গ্রাহক দীর্ঘ দিন যাবত ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে চট্টগ্রাম বাসিকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তগণ।