শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গলাচিপার কৃষি ব্যাংক শাখাগুলোয় জনবল সংকট, কৃষকের ভোগান্তি

গলাচিপা থেকে সংবাদদাতাঃ প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ডিজিটাল যুগেও কৃষি ব্যাংক এখনো যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি বিশ্লেষক ও মডার্ন ফারমার গ্রুপ। এ পিছিয়ে থাকার একমাত্র কারণ শাখা গুলোয় জনবল সংকট চরমে। এদিকে গলাচিপা উপজেলা আওতাধীন ৬টি কৃষি ব্যাংক শাখায় জনবল বাজেটের তুলনায় শতকরা ৩০ ভাগ জনশক্তি নিয়োজিত আছে। খোদ গলাচিপা শাখা ৩০ কোটি স্থিতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানটিতে একজনও ক্যাশিয়ার নেই। আইসিটির নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মী মোঃ আসিফ মিয়াকে ক্যাশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে একজন কর্মকর্তা (ক্যাশ) থাকার কথা। অন্যান্য শাখা গুলোরও প্রায় একই অবস্থা। শাখা গুলোয় মাঠকর্মী নেই বললেই চলে। শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাঠ পর্যায় কাজ করেন ও অফিস সামলান। এখন বোরো ও রবিশষ্য চাষের ভরা মৌসুম, কৃষকেরা হেনস্থাগ্রস্ত ও ভোগান্তির স্বীকার। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ কৃষি নির্ভর অর্থনীতির উপর ভর করে আছে। কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হলে দেশ খদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতায় প্রবৃদ্ধির সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া ২০১৭-২০১৮ ঋণ নিয়ামাচারে শাখা গুলোয় জনবল সংকট নিরসনে অবসর প্রাপ্তদের দৈনিক চুক্তি ভিত্তিক  ব্যবস্থায় নিয়োগের কথা থাকলেও অদ্যাবধি কৃষি ব্যাংকে প্রধান কার্যালয়ের কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অপর দিকে কৃষকেরা হতাশ। অন্যদিকে ঋণ বিতরণ, আদায়, আমানত সংগ্রহের অবস্থাও মন্থর গতির। কোন কোন কর্মকর্তার (নতুন নিয়োগকৃত) ডিডি এমটিতে বৈধ স্বাক্ষর সম্পন্নের (অথরাইজড সিগনেটরি) এক দেড় বছরেও শাখা গুলোয় আসেনি। এতে ব্যবসায়ীরাও হয়রানির স্বীকার। বিষয়গুলো দ্রুত বিবেচনার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট কৃষি বিশ্লেষকদের ও মডার্ন ফার্মারদের অভিমত।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ