শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে অস্ত্র-গুলী ও ইয়াবাসহ চেয়ারম্যান ফিরোজ গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে অস্ত্র-গুলী, তাস ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আটক করা হয়েছে ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজসহ চারজনকে। তাদের নাম হাফিজুল ইসলাম হারুন এবং লিটন মিয়া। তারা ক্লাবের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
গতকাল  শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এর আগে, বিকেল থেকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাব ঘিরে রাখে তারা। অভিযান শেষে ক্লাব থেকে নাইন এম এম পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলী, ইয়াবা ও তাস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব। এর আগে সন্ধ্যায় অভিযান শেষে তাকেসহ আরো তিনজনকে আটক করার কথা জানায় র‌্যাব।
র‌্যাব জানায়, আমরা এখানে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছি। শফিকুল আলম ফিরোজের জিম্মা থেকে অনুমোদন বিহীন বিদেশী অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করেছি। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সবকিছু উদ্ধার করা হয়েছে। আগে এখানে ক্যাসিনো ছিল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখান থেকে অনেক কিছু সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা অস্ত্র অনুমোদন বিহীন বিদেশী অস্ত্র। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজন আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযানের সময় সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এ যাবৎকালে এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো প্রকার গন্ধ নেই। এ নতুন অবিষ্কার। এছাড়া অভিযানে একটা বিদেশ পিস্তলসহ তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। ক্যাসিনোতে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হবে জানান র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যার সোয়া ৭টার দিকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র‌্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র‌্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র‌্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ