শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নাগরি লিপি অনুরাগী জলিল চৌধুরীর ইন্তিকাল

বিশিষ্ট নাগরি লিপি অনুরাগী এম.এ. জলিল চৌধুরী আর নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় তিনি নগরীর একটি ক্লিনিকে ইন্তিকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার বাদ জুমা গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি জামে মসজিদে তার নামাযে জানাযা শেষে ফুলবাড়ি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এম.এ. জলিল চৌধুরী ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ খৃষ্টাব্দে সিলেট গবর্নমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করে সিলেট এমসি কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ইংল্যান্ড চলে যান। তিনি যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিনিস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার ক্যামিস্ট্রি ও পলিমার টেকনোলজি বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। অধ্যয়ন শেষে তিনি ইমপ্যারিয়েল ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির পেট্রো-ক্যামিকেল বিভাগের রিসার্চ গ্রুপের রিসার্চ এক্সপেরিম্যান্টাল ক্যামিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি শৈশব থেকেই সিলটি ভাষা পড়া ও চর্চায় আগ্রহী ছিলেন। নাগরি লিপির বিকাশে তিনি অনন্য ভূমিকা রাখেন। তার প্রচেষ্টায় প্রকৌশলী খায়রুল আখতার চৌধুরী ও প্রকৌশলী জয়নুল আখতার চৌধুরী ভ্রাতৃদ্বয় ১৯৯৪ খৃষ্টাব্দে কম্পিউটারে নাগরি ফন্ট উদ্ভাবন করেন। কম্পিউটারে নাগরি উদ্ভাবনের পর এম.এ. জলিল চৌধুরী নাগরি বাংলা লিপিতে ১৬টির বেশী গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ছিলটি পয়লা কিতাব, ঈমান ও ছালাত, উম্মি তরান, জলিল চৌধুরীর হযবরল কবিতা, ভেদকায়া, রংঢং কিচ্ছা, তিন খন্ডে রচিত চম্পু চয়ন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ