মহেশখালী ও পেকুয়ায় সড়ক-সেতুর সংস্কার নেই ॥ জনদুর্ভোগ
মহেশখালী (কক্সবাজার) সংবাদদাতা, ১০ অক্টোবর : মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের খালের উত্তরকুল কাছিম আলী কাঁটা গ্রামের বাশেঁর সাঁকো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই সাকোঁ দিয়ে দৈনিক হাজারো মানুষের পারাপার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের চলাচলে বিঘ্নতা ঘটেছে। মসজিদে মসল্লিরা নামাজ পড়তে যাওয়া বড় সমস্যা হয়ে গেছে। সম্প্রতি সময়ে প্রাইমারী স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র সাঁকো থেকে নিচে পানির স্রোতে পড়ে গিয়ে ছিল পথচারীদের সহযোগীতায় উদ্ধার হয়ে কোন রকম জানে বেঁচেছে। অত্র এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর জানান, বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে পারাপার আমাদের জন্য বেশী কষ্ঠকর হয়ে পড়েছে, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের পারাপারে ঝুকিঁতে পরিনত হয়েছে, শিঘ্রই আমাদের একটি স্থায়ী কালভার্ট প্রয়োজন। নজরুল ইসলাম ও এরশাদ উল্লাহ জানান, আমরা অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করছি, মসজিদের মুসল্লী ও ছাত্রছাত্রী, গুরুতর অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী মহিলা পারাপার করতে বড় কষ্টকর হয়ে পড়েছে এবং কোন অনুষ্ঠানাদি সুন্দর মতে করতে পারছি না। তাই প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিত্তশালী লোকদের কাছে আমাদের একান্ত দাবী আমরা স্থায়ীভাবে একটি কালভাট দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মান্নান জানান, ছোট মহেশখালী কাঁছিম আলী কাটা এলাকার সকল জনগণের চলাচলের সাঁকো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তারা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের কাছে সহযোগিতা কামনা করে স্থায়ী কালর্ভাট চায়।
পেকুয়া (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের পেকুয়ার প্রধান সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলাচল করছে যানবাহন। এতে প্রায় সময় যানবাহন উল্টে গিয়ে যাত্রীরা নানাভাবে আহত হচ্ছে। বিশেষ করে পেকুয়া আন্নরআলী মাতবরপাড়া পয়েন্টে কয়েকবার মালবাহী ট্রাক আটকে গিয়ে রাস্তার উভয়দিকে শত শত গাড়ী আটকে গিয়েছিল।
ফলে পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দাদের যাতায়তে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী থেকে পেকুয়ার-মগনামা সড়কের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়ার বরইতলী থেকে পেকুয়ার চৌমুহনী পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। সড়কটির চৈরভাঙ্গা স্টেশন থেকে চৌমুহনী স্টেশন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক গর্ত তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে পেকুয়া চৌমুহনী, মিয়াপাড়া, সাবেক গুলদি ও চৈরভাঙ্গা, চড়ারপাড়া, সাকুরপাড় ষ্টেশন, আন্নর আলী মাতবরপাড়া টেক মোড়, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন সংলগ্ন সড়ক, বারবাকিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ কারণে যান চলাচলে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এটি পেকুয়া উপজেলার প্রধান সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে কয়েক শতাধিক গাড়ী চলাচল করে। পেকুয়া উপজেলায় উৎপাদিত বেশিরভাগ লবণ এ সড়ক দিয়ে পরিবহণ করা হয়।
পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার বঞ্চিত থাকা ও অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। গত বর্ষা মৌসুম থেকে এ সড়কে যাতায়াতে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তারপরেও সড়কটি সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃষ্টি কমলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা শাহাদাত জানান, সড়কের নাজুক অবস্থার বিষয় সওজ বিভাগকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার করা হবে।